ডুমুর
ডুমুর | |
---|---|
Sycamore Fig, Ficus sycomorus | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
বর্গ: | Rosales |
পরিবার: | Moraceae |
গোত্র: | Ficeae[১] Gaudich. |
গণ: | Ficus L. |
Species | |
About 800, see text |
ডুমুর (বৈজ্ঞানিক নাম: Ficus)[২] মোরাসিয়া গোত্রভূক্ত ৮৫০টিরও অধিক কাঠজাতীয় গাছের প্রজাতিবিশেষ। এ প্রজাতির গাছ, গুল্ম, লতা ইত্যাদি সম্মিলিতভাবে ডুমুর গাছ বা ডুমুর নামে পরিচিত।
ডুমুর নরম ও মিষ্টিজাতীয় ফল। ফলের আবরণ ভাগ খুবই পাতলা এবং এর অভ্যন্তরে অনেক ছোট ছোট বীজ রয়েছে। এর ফল শুকনো ও পাকা অবস্থায় ভক্ষণ করা যায়। উষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলে এ প্রজাতির গাছ জন্মে। কখনো কখনো চাটনি হিসেবে এর ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়াও, স্ন্যাকজাতীয় খাবারেও ডুমুরের প্রয়োগ হয়ে থাকে।
প্রকারভেদ
[সম্পাদনা]ডুমুর কয়েক প্রজাতির হয়। বাংলাদেশে সচরাচর যে ডুমুর পাওয়া যায় (Ficus hispida) তার ফল ছোট এবং খাওয়ার অনুপযুক্ত। এর আরেক নাম 'কাকডুমুর'। এই গাছ অযত্নে-অবহেলায় এখানে সেখানে ব্যাপক সংখ্যায় গজিয়ে ওঠে। গাছ তুলনামূলকভাবে ছোট। এটি এশিয়ার অনেক অঞ্চলে এবং অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায়।[৩][৪] পাখিরাই প্রধানত এই ডুমুর খেয়ে থাকে এবং পাখির বিষ্ঠার মাধ্যমে বীজের বিস্তার হয়ে থাকে। অনেক এলাকায় এই ডুমুর দিয়ে তরকারি রান্না করে খাওয়া হয়। এই ডুমুরের পাতা শিরিশ কাগজের মত খসখসে। এর ফল কান্ডের গায়ে থোকায় থোকায় জন্মে।
মধ্যপ্রাচ্যে যে ডুমুর (আঞ্জির) পাওয়া যায় (Ficus carica) তার ফল বড় আকারের; এটি জনপ্রিয় ফল হিসেবে খাওয়া হয়। বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ হয়ে থাকে আফগানিস্তান থেকে পর্তুগাল পর্যন্ত। এর আরবি নাম 'ত্বীন'; হিন্দি, উর্দু, ফার্সি ও মারাঠি ভাষায় একে 'আঞ্জির' বলা হয়। এই গাছ ৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এর আদি নিবাস মধ্যপ্রাচ্য। [৫]
জগডুমুর বা যজ্ঞডুমুর নামে আরেক প্রজাতির ডুমুর রয়েছে, যার বৈজ্ঞনিক নাম Ficus racemosa. মূলত এই প্রকার ডুমুর তরকারি করে খাওয়া হয়।
এছাড়া অশ্বত্থ বা পিপল নামে আরেকটি ডুমুর জাতীয় গাছ আছে, যার বৈজ্ঞানিক নাম Ficus religiosa। এটি বটগোত্রীয় বৃক্ষ, এর পাতার অগ্রভাগ সূচাল।
উপরিউক্ত প্রজাতি ছাড়াও ডুমুরের আরো অনেক প্রজাতি রয়েছে।
ধর্মীয় গুরুত্ব
[সম্পাদনা]ধর্মগ্রন্থ কুরআনে 'ত্বীন' (আঞ্জির) নামে একটি অনুচ্ছেদ বা সূরা রয়েছে। সেখানে এই ফলকে আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত বা অনুগ্রহরূপে ব্যক্ত করা হয়েছে। বাইবেলে এই ফলের উল্লেখ আছে [৬]; সেখানে বলা হয়েছে, ক্ষুধার্ত যীশু একটি ডুমুর (আঞ্জির) গাছ দেখলেন কিন্তু সেখানে কোনো ফল ছিল না, তাই তিনি গাছকে অভিশাপ দিলেন। বৌদ্ধ ধর্মেও এই গাছ পবিত্র হিসেবে গণ্য। গৌতম বুদ্ধ যে বোধিবৃক্ষতলে মোক্ষ লাভ করেন তা ছিল অশ্বত্থ গাছ, যা একটা ডুমুর জাতীয় গাছ (Ficus religiosa)।
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
গাছের কাণ্ডে ডুমুর ফল
-
ডুমুর পাতা ও কাঁচা ফল (আঞ্জির)
-
ডুমুর (আঞ্জির)
-
ডুমুরের (আঞ্জির) ভেতরের দৃশ্য
-
তাজা ডুমুর (আঞ্জির) কেটে দেখানো হয়েছে ভেতরের শাঁঁস ও বীজ
-
শুকনো ডুমুর ফল (আঞ্জির)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Ficus L"। Germplasm Resources Information Network। United States Department of Agriculture। ২০০৯-০১-১৬। ২০০৯-০৪-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-১১।
- ↑ Sunset Western Garden Book, 1995:606–607
- ↑ "Ficus hispida"। ZipcodeZoo। ZipcodeZoo। ৩০ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৭, ২০১২।
- ↑ "Biotik.org"। Ficus hispida। জুলাই ২৫, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৭, ২০১২।
- ↑ The Fig: its History, Culture, and Curing, Gustavus A. Eisen, Washington, Govt. print. off., 1901
- ↑ Matthew 21:18–22 and Mark 11:12–14, 19–21
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- Berg, C. C. & Corner, E. J. H. (2005): Moraceae. In: Flora Malesiana Ser. I, vol. 17, part 2.
- California Rare Fruit Growers, Inc. (CRFG) (1996): Fig ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে. Retrieved November 1, 2008.
- Carauta, Pedro; Diaz, Ernani (2002): Figueiras no Brasil. Editora UFRJ, Rio de Janeiro. আইএসবিএন ৮৫-৭১০৮-২৫০-২
- Condit, Ira J. (1969): Ficus: the exotic species. University of California, Division of Agricultural Sciences. 363 pp.
- Denisowski, Paul (2007): Chinese–English Dictionary – Fig. Retrieved November 1, 2008.
- Harrison, Rhett D. (2005): Figs and the diversity of tropical rain forests. Bioscience 55(12): 1053–1064. ডিওআই:10.1641/0006-3568(2005)055[1053:FATDOT]2.0.CO;2 PDF fulltext ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে
- Kislev, Mordechai E.; Hartmann, Anat & Bar-Yosef, Ofer (2006a): Early Domesticated Fig in the Jordan Valley. Science 312(5778): 1372. ডিওআই:10.1126/science.1125910 (HTML abstract) Supporting Online Material ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ জুলাই ২০০৯ তারিখে
- Kislev, Mordechai E.; Hartmann, Anat & Bar-Yosef, Ofer (2006b): Response to Comment on "Early Domesticated Fig in the Jordan Valley". Science 314(5806): 1683b. ডিওআই:10.1126/science.1133748 PDF fulltext
- Lev-Yadun, Simcha; Ne'eman, Gidi; Abbo, Shahal & Flaishman, Moshe A. (2006): Comment on "Early Domesticated Fig in the Jordan Valley". Science 314(5806): 1683a. ডিওআই:10.1126/science.1132636 PDF fulltext
- Lewington, Anna & Parker, Edward (1999): Ancient trees: Trees that live for 1000 years: 192. London, Collins & Brown Limited.
- Rønsted, Nina; Weiblen, George D.; Cook, James M.; Salamin, Nicholas; Machado, Carlos A. & Savoainen, Vincent (2005): 60 million years of co-divergence in the fig-wasp symbiosis. Proceedings of the Royal Society B: Biological Sciences 272(1581): 2593–2599. ডিওআই:10.1098/rspb.2005.3249 PDF fulltext
- Shanahan, M.; Compton, S. G.; So, Samson & Corlett, Richard (2001): Fig-eating by vertebrate frugivores: a global review. Biological Reviews 76(4): 529–572. ডিওআই:10.1017/S1464793101005760 PDF fulltext Electronic appendices
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Figweb ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ এপ্রিল ২০০৫ তারিখে Major reference site for the genus Ficus
- North American Fruit Explorers: Fig
- BBC: Fig fossil clue to early farming
- La Photothèque PH.S., p. 45-47 : Numbers of Ficus pictures