সেমাই
অন্যান্য নাম | সেমাই |
---|---|
উৎপত্তিস্থল | বাংলাদেশ |
অঞ্চল বা রাজ্য | বঙ্গ, দক্ষিণ এশিয়া |
প্রধান উপকরণ | সেমাই, দুধ, কাজু বাদাম, এলাচ, ঘি |
ভিন্নতা | দুধ সেমাই, শুকনা সেমাই |
সেমাই বাঙালি রন্ধনশৈলিতে একটি মিষ্টি জাতীয় খাদ্য। অতি চিকন করে বানানো আটার ফালিকে দুধ, চিনি, গরম মশলা ও কিসমিস সহকারে সেমাই রান্না করা হয়। ক্ষেত্রবিশেষে আটার পরিবর্তে চালের গুড়ো ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে এটি খুবই জনপ্রিয় খাবার, বিশেষ করে বাঙালিদের ঈদুল ফিতর উৎসবের এটি একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে কোথাও কোথাও এই উৎসব সেমাই ঈদ নামেও পরিচিত।
নামকরণ ও ইতিহাস
[সম্পাদনা]বাংলা অভিধানে সেমাই শব্দটাকে কোথাও বলা হয়েছে দেশি, কোথাও বলা হয়েছে হিন্দি। ভাষাতাত্ত্বিক পণ্ডিত সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এর মতে, গ্রিক শব্দ সেমিদালিস থেকে সেমাই শব্দের উৎপত্তি। যদিও এটি সরাসরি ঘটেনি। সেমিদালিস শব্দের মূল অর্থ হলো ময়দা। ময়দা অবশ্য ফারসি শব্দ। এই সেমিদালিস শব্দ সংস্কৃত ভাষায় প্রবেশ করে সমিদা রূপ ধারণ করে। সমিদা থেকেই সেমাই, সেমিয়া ইত্যাদি শব্দ তৈরি হয়।[১]
প্রস্তুতপ্রণালী
[সম্পাদনা]সেমাই দুই প্রকার। যথা হাতে তৈরী সেমাই ও মেশিনে তৈরী সেমাই। সেমাই আটার মণ্ডকে সরু ও দীর্ঘ ফালিতে ভাগ করে প্রস্তুত করা হয়। বর্তমানে সেমাই মূলত যান্ত্রিক পদ্ধতিতে মেশিনে তৈরি করা হয়, যা বাজারে প্যাকেটজাত করে বিক্রয় করা হয়। তবে পূর্বে ঘরে সেমাই তৈরির চল ছিল, যা মূলতঃ বাড়ির মেয়েরা হাতে কেটে তৈরি করতেন এবং এটি বেশ সময়সাপেক্ষ একটি প্রক্রিয়া।
রকমফের
[সম্পাদনা]মূলতঃ দুই প্রকার: সেমাই বা খিল সেমাই ও লাচ্ছা বা লাচ্চা সেমাই।
রন্ধনপ্রণালী
[সম্পাদনা]দুধ সেমাই
[সম্পাদনা]সেমাই প্রথমে তেল ছাড়া বা তেল (বা ঘি) দিয়ে বাদামী বর্ণ ধারণ করা পর্যন্ত ভেজে নিতে হয়। এরপর দুধ আগুনে জ্বাল দিয়ে ঘন করা হয়। এ পর্যায়ে দুধে পরিমাণ মতো এলাচ, দারুচিনি ইত্যাদি গরম মশলা মেশানো হয়। এর পর তাতে রুচি মাফিক চিনি মেশানো হয়। অতঃপর মশলা ও চিনি মেশানো ঘন দুধে ভাজা সেমাই মিশিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে রান্না করা হয়। অতঃপর কিসমিস দেয়া হয় এবং আরো কিছুক্ষণ আগুনে রাখা হয়।
শুকনা সেমাই
[সম্পাদনা]পরিবেশন পদ্ধতি
[সম্পাদনা]সেমাই পরিবেশন করা হয় ছোট বাটিতে। কখনও কখনও পেস্তা বাদাম ছিটিয়ে পরিবেশন করা হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "ঈদের সেমাই"। ২০১৬-০৭-০২। Archived from the original on ২০২১-০৫-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২৫।
বাংলাদেশী রন্ধনশৈলী বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |