শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)
অবয়ব
জাতীয় চলচ্চিত্র শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী পুরস্কার | |
---|---|
বিবরণ | বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য |
অবস্থান | ঢাকা |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুরস্কারদাতা | বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি |
প্রথম পুরস্কৃত | ১৯৭৫ |
সর্বশেষ পুরস্কৃত | ২০১৮ |
বর্তমানে আধৃত | সুচরিতা (মেঘকন্যা-এর জন্য) |
ওয়েবসাইট | অফিসিয়াল ওয়েবাসাইট |
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রীদের জন্য সর্বাপেক্ষা সম্মানীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার; যা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের অংশ হিসাবে ১৯৭৫ সাল থেকে প্রতি বছর দেওয়া হয়।[১] আনোয়ারা সর্বাধিক সাতবার এই পুরস্কার লাভ করেন। রওশন জামিল, মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী, চম্পা, নিপুণ আক্তার, ও ববিতা দুইবার করে এই পুরস্কার লাভ করেন। শাবানা ১৯৭৭ সালের জননী চলচ্চিত্রের জন্য এই পুরস্কার পেলেও তিনি তা প্রত্যাখান করেন।
বিজয়ী অভিনেত্রী
[সম্পাদনা]১৯৭০-এর দশক
[সম্পাদনা]বছর | বিজয়ী অভিনেত্রী | চলচ্চিত্র | ভূমিকা | সূত্র |
---|---|---|---|---|
১৯৭৫ | রোজী সামাদ | লাঠিয়াল | কাদের লাঠিয়ালের স্ত্রী | [২] |
১৯৭৬ | রওশন জামিল | নয়নমনি | নানী | [৩] |
১৯৭৭ | শাবানা* | জননী | ||
১৯৭৮ | আনোয়ারা | গোলাপী এখন ট্রেনে | ময়না | [৪] |
১৯৭৯ | আনোয়ারা | সুন্দরী | বিন্দিয়া | [৩] |
১৯৮০-এর দশক
[সম্পাদনা]বছর | বিজয়ী অভিনেত্রী | চলচ্চিত্র | ভূমিকা | সূত্র |
---|---|---|---|---|
১৯৮০ | রোজিনা | কসাই | [৩] | |
১৯৮১ | পুরস্কার দেওয়া হয় নি | |||
১৯৮২ | আয়শা আখতার | রজনীগন্ধা | তপনের মা | |
১৯৮৩ | সুবর্ণা মুস্তাফা* | নতুন বউ | ||
১৯৮৪ | আনোয়ারা | সখিনার যুদ্ধ | ||
১৯৮৫ | রেহানা জলি | মা ও ছেলে | মমতা | |
১৯৮৬ | জিনাত | শুভদা | ললনা | |
১৯৮৭ | পারভীন সুলতানা দিতি | স্বামী স্ত্রী | সাবিনা | |
১৯৮৮ | সুবর্ণা শিরিন | বিরাজ বৌ | ||
১৯৮৯ | খালেদা আক্তার কল্পনা | জিনের বাদশা | রতনের চাচী |
১৯৯০-এর দশক
[সম্পাদনা]বছর | বিজয়ী অভিনেত্রী | চলচ্চিত্র | ভূমিকা | সূত্র |
---|---|---|---|---|
১৯৯০ | আনোয়ারা | মরণের পরে | ডাক্তার আপা | [৫] |
১৯৯১ | নূতন | স্ত্রীর পাওনা | ঈভা | [৬] |
১৯৯২ | আনোয়ারা | রাধা কৃষ্ণ | [৫] | |
১৯৯৩ | আনোয়ারা | বাংলার বধূ | ||
১৯৯৪ | আনোয়ারা | অন্তরে অন্তরে | দাদী | |
১৯৯৫ | শান্তা ইসলাম | অন্য জীবন | [৩] | |
১৯৯৬ | শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রীর জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি | |||
১৯৯৭ | রোকেয়া প্রাচী | দুখাই | বুলি | |
১৯৯৮ | শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রীর জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি | |||
১৯৯৯ | শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রীর জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি |
২০০০-এর দশক
[সম্পাদনা]বছর | বিজয়ী অভিনেত্রী | চলচ্চিত্র | ভূমিকা | সূত্র |
---|---|---|---|---|
২০০০ | তমালিকা কর্মকার | কিত্তনখোলা | [৩] | |
২০০১ | মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী | লালসালু | জমিলা | [৭] |
২০০২ | ববিতা | হাছন রাজা | [৩] | |
২০০৩ | ইয়াসমিন বিলকিস সাথী | বীর সৈনিক | মেহনাজ | |
২০০৪ | মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী | জয়যাত্রা | মরিয়ম | [৮] |
২০০৫ | চম্পা | শাস্তি | রাধা দেবী | |
২০০৬ | ডলি জহুর | ঘানি | রোকেয়া | |
২০০৭ | নিপুণ আক্তার | সাজঘর | [৯] | |
২০০৮ | চম্পা দিলারা জামান |
চন্দ্রগ্রহণ | পাগলী কালী মাসি |
[১০] |
২০০৯ | নিপুণ আক্তার | চাঁদের মত বউ | প্রিয়া | [১১] |
২০১০-এর দশক
[সম্পাদনা]বছর | বিজয়ী অভিনেত্রী | চলচ্চিত্র | ভূমিকা | সূত্র |
---|---|---|---|---|
২০১০ | রুমানা খান | ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না | অজান্তা | [১২] |
২০১১ | ববিতা | কে আপন কে পর | [১৩] | |
২০১২ | লুসি তৃপ্তি গোমেজ | উত্তরের সুর | আম্বিয়া | [১৪] |
২০১৩ | অপর্ণা ঘোষ | মৃত্তিকা মায়া | ফাহমিদা | [১৫][১৬] |
২০১৪ | চিত্রলেখা গুহ | ৭১ এর মা জননী | হাশেমের মা | [১৭][১৮] |
২০১৫ | তমা মির্জা | নদীজন | ছায়া | [১৯] |
২০১৬ | তানিয়া আহমেদ | কৃষ্ণপক্ষ | জেবা | [২০] |
২০১৭ | সুবর্ণা মুস্তাফা রুনা খান |
গহীন বালুচর হালদা |
আসয়া জুঁই |
[২১] |
২০১৮ | সুচরিতা | মেঘকন্যা | [২১] |
* পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন।
পুরস্কারের পরিসংখ্যান
[সম্পাদনা]একাধিকবার বিজয়ী
[সম্পাদনা]সংখ্যা | অভিনেতা |
---|---|
আনোয়ারা | |
রওশন জামিল | |
মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী | |
চম্পা | |
নিপুণ আক্তার | |
ববিতা |
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী
- শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর জন্য মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ রাশেদ শাওন। "চার দশকে আমাদের সেরা চলচ্চিত্রগুলো"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১২।
- ↑ "লাঠিয়াল"। দৈনিক সমকাল। ১৫ আগস্ট ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের নামের তালিকা (১৯৭৫-২০১২)"। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ লিয়াকত হোসেন খোকন (৫ আগস্ট ২০১০)। "কিংবদন্তি : বাংলার আলেয়া আনোয়ারা"। দৈনিক আমার দেশ। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬।
- ↑ ক খ "কিংবদন্তি সেই মায়ের গল্প"। ইত্তেফাক। ৫ জানুয়ারী ২০১৭। ৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ অভি মঈনুদ্দীন (২১ মে ২০১৩)। "নূতন এখনও নতুন"। দৈনিক আমার দেশ। ২১ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬।
- ↑ নিষাদ চৌধুরী (৭ মে ২০১৩)। "চাঁদনীর তিন পৃথিবী"। দৈনিক আমার দেশ। ১৪ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "National Film Awards for the last fours years announced" [চার বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা]। দ্য ডেইলি স্টার। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ নাদিয়া সারওয়াত (২৫ অক্টোবর ২০০৮)। "National Film Awards generate enthusiasm"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬।
- ↑ মেঘলা রহমান বৃষ্টি (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০)। "অভিনয়ে সেরা রিয়াজ ও পপি"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০০৯"। বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর.কম। ঢাকা, বাংলাদেশ। ২৪ মার্চ ২০১১। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১০"। দৈনিক আমার দেশ। ২৩ মার্চ ২০১২। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬।
- ↑ নিষাদ চৌধুরী (১২ মার্চ ২০১২)। "সেরা আসর বসছে আজ : জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১১"। দৈনিক আমার দেশ। ৪ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১২ ঘোষণা"। দৈনিক যুগান্তর। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৩"। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে 'মৃত্তিকা মায়া'র জয়জয়কার"। বিডিনিউজ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১০ মার্চ ২০১৫। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৪"। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৪ ঘোষণা"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "২০১৫ সালের 'জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার' ঘোষণা"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১৯ মে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ মানজুর, মাহমুদ (৫ এপ্রিল ২০১৮)। "শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র 'অজ্ঞাতনামা', সর্বাধিক 'আয়নাবাজি' | banglatribune.com"। বাংলা ট্রিবিউন। ১৬ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ ক খ "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৭ ও ২০১৮"। তথ্য অধিদফতর। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৯।