শিলচর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার | |
---|---|
শিলচর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার | |
সাধারণ তথ্যাবলী | |
অবস্থা | সম্পূর্ণ |
ধরন | স্তম্ভ |
স্থাপত্যশৈলী | আধুনিক |
অবস্থান | কাছাড়, অসম, ভারত |
ঠিকানা | গান্ধিবাগ, শিলচর |
শিলচর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ১৯৬১ সালের অসম ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে নির্মিত একটি সৌধ। এটি ভারতের অসম রাজ্যের শিলচরের গান্ধিবাগে অবস্থিত এবং প্রতি বছর ১৯ মে তারিখে এখানে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৬১ সালে অসম রাজ্যের রাজ্য ভাষা হিসাবে বাংলাকে অন্তর্ভূক্তির দাবীতে আন্দোলন চলাকালীন ১৯ মে তারিখে শিলচর রেলস্টেশন এলাকায় আধা-সামরিক বাহিনীর ছোড়া গুলিতে শহীদ হন ১১ জন বাঙালি।[২] তাদের স্মরণে শিলচর শহরের গান্ধিবাগে গড়ে তোলা হয়েছে এই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি।[১]
নকশা ও স্থাপত্য
[সম্পাদনা]এই স্মৃতিসৌধটি নির্মান করা হয়েছে একটি মন্দিরের নকশার মতো করে।[৩]
নির্মাণ
[সম্পাদনা]এই স্মৃতিসৌধটি নির্মানের সময় নির্মাণ সামগ্রীর সাথে অসম ভাষা আন্দোলনে শহীদ ১১ জনের দেহভস্ম মিশিয়ে দেওয়া হয়।[৪]
ব্যবহার
[সম্পাদনা]১৯৬১ সালের ১৯ মে তারিখের বর্বরতার কথা স্মরণ করে প্রতিবছর বেলা ২ট ৩৫ মিনিটে শিলচরবাসী এই শহীদস্তম্ভে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে থাকে।[১] অসম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা তার পক্ষ থেকেও প্রতি বছর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানও হয়।[১]
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ সাহা, অমর (২০ মে ২০১২)। "আরেক ফাল্গুনের কথা"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ মাহবুব, এম. আর. (৪ জুন ২০১৬)। "আসামে বাংলা ভাষা-আন্দোলন"। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ সাহা, অমর (১৯ মে ২০১০)। "৫০ বছরে আসামের ভাষা আন্দোলন"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বাংলা ভাষা আন্দোলনের অকথিত ইতিহাস"। সিবিএন২৪। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৭।