মার্টিন বিকনেল
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মার্টিন পল বিকনেল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | গিল্ডফোর্ড, সারে, ইংল্যান্ড | ১৪ জানুয়ারি ১৯৬৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | বিকার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি (১.৯৩ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫৬৫) | ২২ জুলাই ১৯৯৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১১০) | ৭ ডিসেম্বর ১৯৯০ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ |
মার্টিন পল বিকনেল (ইংরেজি: Martin Bicknell; জন্ম: ১৪ জানুয়ারি, ১৯৬৯) সারের গিল্ডফোর্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করে থাকেন। এছাড়াও ডানহাতে নিচের সারিতে ব্যাটিং করতেন ‘বিকার্স’ ডাকনামে পরিচিতি মার্টিন বিকনেল। ২০০১ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটাররূপে ঘোষিত হন।
খেলোয়াড়ী জীবন
[সম্পাদনা]১৯৯০-৯১ মৌসুমে সাতটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছিলেন।[১] সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে কেবলমাত্র চার টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৯৩ সালের অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্ট খেলার পর দশ বছর বিরতি দিয়ে ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[২] এ সময়ে ইংল্যান্ড দল ১১৪টি টেস্ট খেলায় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যা কোন খেলোয়াড়ের দীর্ঘবিরতিতে রেকর্ডবিশেষ। তাকে সর্বাপেক্ষা দূর্ভাগ্যবান ক্রিকেটার হিসেবে মনে করা হয়। কাউন্টি ক্রিকেটে নিয়মিতভাবে উইকেট লাভে পারঙ্গমতা প্রদর্শন করলেও দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক ধারাবাহিকভাবে উপেক্ষিত হতেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
[সম্পাদনা]১৯৮৬ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে। মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে সুইংয়ের কার্যকারিতা দেখানোর পাশাপাশি সিম বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন তিনি। ২০০৫ সালে নিজ কাউন্টি সারে দলের সদস্যরূপে একহাজার প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভ করেছেন।[৩] এর পূর্বের বছর সকল প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছেন।[৪] গিল্ডফোর্ডে লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলায় ১৬/১১৯ লাভ করেন। এ বোলিং পরিসংখ্যানটি কাউন্টি দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯/৪৭ পান।[৫] তবে ১৯৮৮ সালে ওভালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে তার সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৯/৪৫।
নিচেরসারিতে ব্যাটিং করেও দলে অল-রাউন্ডার হিসেবে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে শতরানসহ তার বোলিং গড় ছিল ২৪.৮৭।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]অ্যান্ড্রু ক্যাডিক, জাস্টিন ল্যাঙ্গার, ড্যারেন লেহম্যান ও মার্ক অ্যালেনের সাথে তিনি উইজডেন কর্তৃক পাঁচজন বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের একজনরূপে মনোনীত হন।[৬]
২০০৬ মৌসুমের শেষার্ধ্বে তার খেলোয়াড়ী জীবনে কার্যত সমাপণ ঘটে। ক্রমাগত আঘাতের ফলে ৯ আগস্ট, ২০০৬ তারিখে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে বাধ্য হন। ২০১২ মৌসুম পর্যন্ত সারে ক্লাবের ফাস্ট বোলিং কোচরূপে দায়িত্ব পালন করেন। ক্লাবের ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে নবপ্রবর্তিত চিফ স্কাউট পদে মনোনীত হন।[৭] এরপর তিনি চার্টারহাউজ স্কুলে ক্রিকেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ২০০৮ সালে ‘বিকার্স’ শিরোনামে আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ প্রকাশ করেন।[৮] এতে তিনি ইংল্যান্ড দলে অবস্থানকালীন খেলা সম্পর্কে তার অভিমত তুলে ধরেছেন।[৯]
রবার্ট হ্যাইনিং কাউন্টি সেকেন্ডারীতে অধ্যয়ন করেন তিনি। তার ভাই ড্যারেন বিকনেল সারের সাবেক ব্যাটসম্যান ছিলেন। নটিংহ্যামশায়ারে ড্যারেনের খেলোয়াড়ী জীবন শেষ হয়েছিল। ফার্নহামের চার্ট এলাকায় বিকনেল বসবাস করছেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত বিকনেল ‘সারাহ’ নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। তাদের সংসারে এলি, শার্লত, মিয়া-মে ও মিলি-কোকো নাম্নী চার সন্তান রয়েছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Club business for Martin Bicknell, 10 January 2000
- ↑ Better Than Sex: Bickers’ Three-Card Trick, Henry Cowen, April 14th, 2014
- ↑ [১]
- ↑ July 21, 2000 Bicknell's 16-119 best since the summer of 1956
- ↑ [২]
- ↑ Wisden editorial report of 2001 Wisden Cricketers of the Year
- ↑ Bicknell Appointed Chief Scout, 19 October, 2012[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Product Details, Bickers - The Autobiography of Martin Bicknell: The Autobiography of Martin Bicknell, 7 Apr 2008
- ↑ "Bickers - Autobiography Of Martin Bicknell"। ১ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৭।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে মার্টিন বিকনেল (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে মার্টিন বিকনেল (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)