পার্সি ফেন্ডার
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | পার্সি জর্জ হার্বার্ট ফেন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বেলহাম, লন্ডন, যুক্তরাজ্য | ২২ আগস্ট ১৮৯২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৫ জুন ১৯৮৫ এক্সটার, ডেভন, যুক্তরাজ্য | (বয়স ৯২)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | মসি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম পেস/লেগ স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | পার্সি হার্বার্ট (কাকা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৮৭) | ১৪ জানুয়ারি ১৯২১ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৫ জুন ১৯২৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯২০–১৯৩৬ | মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯১৪-১৯৩৫ | সারে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯১০-১৯১৩ | সাসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ |
পার্সি জর্জ হার্বার্ট ফেন্ডার (ইংরেজি: Percy Fender; জন্ম: ২২ আগস্ট, ১৮৯২ - মৃত্যু: ১৫ জুন, ১৯৮৫) সারের বেলহাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের পক্ষে ১৩ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন।
১৯২১ থেকে ১৯৩১ সময়কালে ঘরোয়া ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারের পক্ষে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। দলে মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন 'মসি' ডাকনামে পরিচিত পার্সি ফেন্ডার। মাঝারিসারির ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লেগস্পিন বোলিং করতেন। সাতবার ডাবল লাভ করেছেন।
যুদ্ধংদেহী চিত্তের অধিকারী ছিলেন ফেন্ডার। ১৯২০ সালে দ্রুততম সময়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। মাত্র ৩৫ মিনিটে তিন অঙ্কের কোঠায় পৌঁছেন যা ২০১৭ সাল পর্যন্ত টিকে রয়েছে। সারে দলের অধিনায়কত্বকালীন সমসাময়িকদের সাথে মূল্যায়ন করলে তিনি ইংল্যান্ডে সেরা অধিনায়কের স্বীকৃতি পান।
১৯১৪ সালের শুরুতে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে তাকে মনোনীত করা হয়েছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে রয়্যাল ফ্লাইং কোরে যুদ্ধকালীন সেবায় যোগ দেন। যুদ্ধের পর সারে দলে ফিরে যান ও ১৯২১ সালে অধিনায়কের মর্যাদা লাভ করেন। তার অধিনায়কত্বে দল বেশ কয়েক মৌসুম কার্যকরী বোলারের ঘাটতি থাকা স্বত্ত্বেও কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে বেশ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। পাশাপাশি বেশ কিছু বিতর্কের সাথেও যুক্ত হয় তার নাম। ব্যাট ও বল হাতে কার্যকরী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তবে, বোলারদের কাছ থেকে তেমন সহায়তা পাননি।
১৯২১ সালে মাঝে-মধ্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেট খেলতেন। তবে, তেমন সফলতা পাননি। গণমাধ্যমে অধিনায়কের জন্য তার কথা তুলে ধরা হলেও টেস্ট অধিনায়কের মর্যাদা লাভ করেননি। ১৯২৪ সালে ব্যাপক প্রভাববিস্তারকারী ব্যক্তিত্ব লর্ড হ্যারিসের সাথে সংঘাতের ফলে ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলার সুযোগ কার্যত শেষ হয়ে যায়। এছাড়াও, সারে কর্তৃপক্ষের সাথে তার গৃহীত পদক্ষেপ ও কৌশলে মতানৈক্য ঘটায় ১৯৩২ সালে অধিনায়ক হিসেবে পদত্যাগ করতে হয়েছে ও ১৯৩৫ সালে তার প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপণী ঘটে।
বেশ জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে ফেন্ডার তার দল ও দর্শকদের কাছে বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন। বর্ণাঢ্যময় উপস্থিতির কথা ব্যঙ্গচিত্রকারকেরা ফুটিয়ে তুললেও ক্রিকেটের বাইরে উঁচু মহলে বেশ উপস্থিতি ছিল। ক্রিকেটের পাশাপাশি ফেন্ডার মদের ব্যবসায় কাজ করতেন ও সাংবাদিকতায় জড়িয়ে পড়েন। বিভিন্ন ক্রিকেট সফরকে ঘিরে বেশ কিছু পুস্তক রচনা করেন। অন্ধ হয়ে যাবার পরও ১৯৭০-এর দশকেও কর্মময় জীবন পাড় করেন। ১৯৮৫ সালে তার দেহাবসান ঘটে।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]স্ট্যাশনার্স প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পার্সি রবার্ট ফেন্ডার ও লিলি (বিবাহ-পূর্ব হার্বার্ট) দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান ছিলেন পার্সি ফেন্ডার।[১] ১৮৯২ সালে সারের বেলহাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ফেন্ডার মূলতঃ মায়ের পরিবারের সহযোগিতায় ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। এ পরিবারটি ব্রাইটনের ক্লাব ক্রিকেটে জড়িত ছিল।[২] আট বছর বয়স থেকে তিনি সাসেক্সের সাথে সফরকারী দলগুলোর মধ্যকার খেলাগুলো দেখার জন্য মাঠে উপস্থিত হতেন।[৩] ওয়েব্রিজের সেন্ট জর্জেস কলেজে পড়াশোনার করার পর লন্ডনের সেন্ট পলস স্কুলে অধ্যয়ন করেন তিনি।[১] পড়াশোনায় তেমন ভালো ছিলেন না; তবে, অনেক ধরনের ক্রীড়ায় তার সপ্রতিভ অংশগ্রহণ ছিল।[৪]
সেন্ট পলসে অবস্থানকালে ক্রিকেটার হিসেবে ফেন্ডার নিজেকে তুলে ধরতে তৎপরতা দেখান।[৫] ১৯০৮ সালে বিদ্যালয়ের পোশাক লাভের পর থেকে পরবর্তী তিন বছর বিদ্যালয় দলে ছিলেন।[৪] ১৯০৯ সালে ব্যাটিং গড়ে বিদ্যালয়ের শীর্ষে ছিলেন তিনি।[৬] বেডফোর্ড স্কুলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত একটি খেলায় দূর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকান। ঐ একই খেলায় বল ছুঁড়ে মারার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন।[৭] ফেন্ডারের এ সফলতার কারণে পাবলিক স্কুলস একাদশের সদস্যরূপে লর্ডসে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেলার সুযোগ হয় তার। ১৯১০ সাল পর্যন্ত সেন্ট পলসে তার এ সফলতা ধারাবাহিকভাবে অগ্রসর হচ্ছিল। তবে, পিতা ও বিদ্যালয়ের হাই মাস্টারের চুক্তিবদ্ধতার কারণে পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটে। এর কারণ ছিল - অভিভাবকের অনুমতি ব্যতিরেকেই ক্রিকেট খেলতে যান তিনি ও তার পিতা পড়াশোনায় ব্যাঘাতের বিষয়ে অসন্তুষ্টিজ্ঞাপন করেন।[৮] তবে, বিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় থাকায় গ্রীষ্মে লর্ডসে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় তার অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নি।[৯] তার এ সফলতা স্বত্ত্বেও সেন্ট পলসের ক্রিকেট প্রশিক্ষক বিশ্বস্ত ক্রিকেটার হিসেবে তাকে মর্যাদা দেননি। ব্যাটিংকালে অনেক ধরনের ঝুঁকি গ্রহণ ও বোলিংয়ে বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্রময় ভঙ্গীমায় বল ডেলিভারী করার অভিযোগ আনা হয়।[৯]
কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ
[সম্পাদনা]বিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থাতেই গ্রীষ্মকালীন অবকাশে ব্রাইটনে দাদার বাড়ীতে সময় কাটাতেন। এরফলে সাসেক্সের পক্ষে কাউন্টি ক্রিকেট খেলার জন্য সুযোগ লাভ করেন। ১৯১০ সালে বিদ্যালয় ত্যাগ করার পর ক্লাব ক্রিকেটের দিকে আগ্রহ জন্মায়। স্থানীয় ক্রিকেট ও দ্বিতীয় একাদশের খেলায় প্রভূতঃ সফলতা লাভের প্রেক্ষিতে ২১ জুলাই শৌখিন ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সাসেক্সের পক্ষে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে অভিষেক ঘটে তার।[১০][১১] ঐ মৌসুমে আরও একটি খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার। ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে খেলাকালীন প্রতিপক্ষীয় দুই পেস বোলারের কাছ থেকে ভূয়সী প্রশংসা লাভ করেন তিনি। দুই খেলায় অংশ নিয়ে ফেন্ডার ১৯ রান দেন ও একটিমাত্র উইকেট পেয়েছিলেন।[১২]
১৯১০ সালের ক্রিকেট মৌসুমের পর বাবার কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে হাতে-কলমে শেখার উদ্দেশ্য নিয়ে ফেন্ডার ল্যাঙ্কাশায়ারের হরউইচে একটি কাগজের কারখানায় কাজ করেন। যন্ত্রে কাগজ ঢোকানোর সময় বাম হাত আটকে যায় ও গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তিনটি আঙ্গুল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরফলে জীবনের বাদ-বাকী সময় ঐ আঙ্গুলগুলো অসাড় হয়ে যায়। হরউইচেই অবস্থান করে ১৯১১ সালের ক্রিকেট মৌসুমে যোগ দেন ও ম্যানচেস্টার ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে বেশ কয়েকটি খেলায় অংশ নেন। ব্রাইটনে ফিরে যাবার পর ল্যাঙ্কাশায়ারের অবশ্যম্ভাবী খেলোয়াড় হিসেবে তাকে নেয়া হয়। ঐ মৌসুমে সাসেক্সের পক্ষে দুই খেলায় অংশ নেন। পরের মৌসুমে কাউন্টি দলের দ্বিতীয় খেলায় অক্সফোর্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন ও প্রথম-শ্রেণীর খেলায় নিজস্ব প্রথম সেঞ্চুরি করেন। এর পরের খেলায় সারের বিপক্ষে ৫/৪২ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। এ সকল সফলতার পর ১৯১২ মৌসুমে নিয়মিত খেলোয়াড় হিসেবে খেলতে থাকেন। ২৪.২৪ গড়ে ৬০৬ রান তুলেন ও মিডিয়াম পেস বোলিং করে[১৩] ২৫.৫০ গড়ে ১৬ উইকেট দখল করেন।[১৪]
১৯১৩ সালে সাসেক্স দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন পার্সি ফেন্ডার।[১৫] মৌসুমের প্রথম দুই মাসে তিনি বিবেচনার যোগ্য প্রভাব ফেলেন। ২১ ইনিংসে ব্যাটিং করে ছয়টি অর্ধ-শতরান ও একটি শতরান করেন। খেলায় তিনি বেশ সাড়া ফেলে দেন ও বড় ধরনের মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেন।[১৬] ফলশ্রুতিতে লর্ডসে জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্সের মধ্যকার খেলায় অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হন। তবে, শৌখিন খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া জেন্টলম্যানের পক্ষে তার ক্রীড়াশৈলী তেমন সফলতা পায়নি। নেতিবাচক খেলার প্রভাব মৌসুমের বাদ-বাকী সময়ে প্রভাব পড়ে। উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক মন্তব্য করে যে, পরবর্তী মাসগুলোয় তিনি দলের জন্য মূল্যবান বলে পরিগণিত হননি।[১৫] তাস্বত্ত্বেও তিনি প্রথমবারের মতো সহস্রাধিক প্রথম-শ্রেণীর রান সংগ্রহে সমর্থতা দেখান। ২৩.৭৩ গড়ে ১,১৬৩ রান তুলেন। এছাড়াও, ৩৫.০৮ গড়ে ৩৪ উইকেট নেন তিনি।[১৪][১৭]
সারে গমন
[সম্পাদনা]শুরুতে ফেন্ডার ব্যারিস্টার হতে চেয়েছিলেন। তবে, পরিবার ব্যয়ভারের প্রশ্ন তুললে এ চিন্তা বাদ দেন তিনি।[১১] ১৯১৪ সালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত বাবার কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও স্ট্যাশনার্সে কাজ নেন। ক্রিকেট খেলতে অনুমতি প্রদান করা হলেও তার বাবা বিশ্বাস করতেন যে, ক্রীড়া ও ব্যবসায়িক জীবন একসূত্রে গাঁথা হতে পারে না। ফেন্ডার এতে দ্বিমত পোষন করেন। তার মতে, কাউন্টি ক্রিকেটে কাজের সময় ক্ষতির বিষয়টি চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে।[১৮] ব্যবসায়িক জীবনকে সহায়তার লক্ষ্যে ১৯১৩-১৪ মৌসুমের শীতকালে লন্ডনে চলে যান। জন্মস্থানের কারণে সারে দলে খেলার জন্য মনোনীত হন। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে তাকে পেয়ে কাউন্টি কর্তৃপক্ষও খুশি হন।[১১][১৮] খেলার পূর্বে ও প্রত্যেকে দিনের শেষে ব্যবসায়িক কার্যাবলীতে অংশ নিতেন। প্রায়শঃই সারে দলের বাইরের খেলায় অংশগ্রহণের সাথে ব্যবসায়িক কাজে জড়িত থাকতেন।[১৮] সামাজিকভাবে ফেন্ডার অভিজাত ক্লাব ও থিয়েটারের পরিচিত মুখ ছিলেন। অভিনেতা জ্যাক হালবার্টের বন্ধু হন ও গীতধর্মী থিয়েটারের দিকে আগ্রহ দেখান। এতে তিনি আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করতেন। এছাড়াও কিছু গান লিখেন।[১৯] ১৯১৪ মৌসুমের পর ফেন্ডার তার বাবাকে আশ্বস্ত করতে পারেন যে, ক্রিকেট ও ব্যবসায়ে তিনি যৌথভাবে সফলতা লাভ করতে পেরেছেন।[১৮]
ক্রিকেটার হিসেবে তার উত্তরণের স্বীকৃতিস্বরূপ উইজডেন কর্তৃক ১৯১৪ সালে অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন।[২০]
খেলোয়াড় হিসেবে ফেন্ডার খুব দ্রুত নিজেকে সারে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে রূপান্তরিত করেন। নিজস্ব দ্বিতীয় খেলায় হ্যাট্রিক করেন ও পঞ্চম খেলায় অনবদ্য সেঞ্চুরি করেন যা সারের সমর্থকদের মাঝে ভীষন জনপ্রিয়তা এনে দেয়।[২১] ঐ মৌসুমে প্রায়শঃই খুব দ্রুতলয়ে ৮২০ রান তোলার পাশাপাশি ৮৩ উইকেট তুলে নেন। এ সময় তিনি মাঝে-মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে লেগ স্পিন বোলিংয়ের প্রয়োগ ঘটাতেন।[১৪][১৭][২২] উইজডেনের মতে, তার মূল্য সংখ্যার চেয়েও অধিক ছিল। নিজ রেকর্ডের চেয়ে দলের জয়েই বেশি ভূমিকা রাখতেন তিনি।[৬] শক্তিশালী ব্যাটিং সমৃদ্ধ সারে দলে আক্রমণাত্মক ঢংয়ে ব্যাটিং করতেন, বোলার সমৃদ্ধ সাসেক্স দলের বিপক্ষে আরও সহজভাবে বোল্ড হতেন ও স্লিপ ফিল্ডার হিসেবে নিজেকে পরিচিতি ঘটিয়েছেন।[২০] এক দলীয় সঙ্গী ফেন্ডার সম্পর্কে মূল্যায়ন করেন যে, তিনি দলের প্রধান চালিকাশক্তি ছিলেন ও উইজডেন মন্তব্য করে যে, তিনি সর্বদাই সঠিক ব্যক্তি হিসেবে সঠিক স্থানে অবস্থান গ্রহণ করতেন।[৬] লর্ডসে জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্সের মধ্যকার খেলায় শেষদিকে দলে অন্তর্ভুক্ত হন। তেমন সফলতা না পেলেও সমালোচকদের মন জয় করেছেন।[২৩]
আগস্ট, ১৯১৪ সালে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ায় ঐ মৌসুমটি আকস্মিকভাবে শেষ হয়ে যায়। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের পয়েন্ট তালিকায় সারে দল শীর্ষস্থানে অবস্থান করছিল। তাদের নিকটতম প্রতিপক্ষীয় দলের কোন আপত্তি না থাকায় এমসিসি সারে দলকে কাউন্টি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঘোষণা করে।[২৪]
বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ
[সম্পাদনা]১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে খুব দ্রুত কাউন্টি ক্রিকেটের খেলা বাতিল করা হলে ফেন্ডার সেনাবাহিনীতে তালিকাভূক্ত হন ও কোট রেজিমেন্ট ইন্সে যোগ দেন। রয়্যাল ফাসিলিয়ার্সে লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন্ডপ্রাপ্ত হন। তবে, সেনাবাহিনীর দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বিরক্তির মুখোমুখি হন। যুদ্ধবিভাগ কার্যালয়ে নিযুক্ত বিখ্যাত ক্রিকেটার পেলহাম ওয়ার্নারের সহায়তায় ১৯১৫ সালে রয়্যাল ফ্লাইং কোরে স্থানান্তরিত হন।[২৫] শুরুতে লন্ডনে অবস্থান করলেও সেখানে তিনি জেপলিন আক্রমণের কাজে যুক্ত থাকেন ও পরবর্তীকালে ১৯১৬ সালে ভারতে প্রেরিত হন।[২৬]
ভারতে আসার পরপরই তিনি আমাশয়সহ কলেরা ও অন্যান্য রোগের শিকার হন। ইংল্যান্ডে ফিরে সুস্থ হন। তাস্বত্ত্বেও পরবর্তী দুই বছর শারীরিক দূর্বলতায় ভুগতে থাকেন। সেনা ডাক্তারেরা নিশ্চিত হতে পারছিলেন না যে ঠিক কি কারণে ফেন্ডার সুস্থ হচ্ছিলেন না। তবে, ১৯১৮ সাল পর্যন্ত তাদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। ১৯১৭ ও ১৯১৮ সালে তিনি কয়েকটি দাতব্য ক্রিকেট খেলায় অংশ নেন। তবে, রয়্যাল ফ্লাইং কোরের সাধারণ কার্যাবলীতেও তিনি অংশ নেননি।[২৭] কিছুটা সুস্থ হবার পর ১৯১৮ সালের শেষদিকে ফুটবলে অংশ নেয়ার পর তার বাম পায়ের পাঁচ জায়গায় ফাটল ধরে।[২৮]
১৯১৮ ও ১৯১৯ সালের বাদ-বাকী সময় লাঠিতে ভর করে চলতে হয় তাকে। এরফলে, ১৯১৯ সালে কাউন্টি ক্রিকেট শুরু হলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।[প ১][২৯] কেমব্রিজের কায়াস কলেজে স্থান ফিরে পান। তবে, আঘাতের কারণে ক্রিকেটে অংশ নিতে পারেননি। শিক্ষাজীবন শেষে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে নিযুক্তির ইচ্ছা পোষণ করলেও স্বাক্ষাৎকারগ্রহণকারী তাকে কেবলমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ফিরে পেতে চান।[২৯] এ সময়ে সুস্থ হবার পর ১৯২০ মৌসুমে খেলার জগতে ফিরে আসেন। তবে, তার পায়ের সমস্যার বিষয়টি জীবনের বাদ-বাকী সময় পর্যন্ত ভোগাতে থাকে। দীর্ঘ সময় ফিল্ডিং করলে যন্ত্রণা ভোগ করলে মাঠ ত্যাগ করতে বাধ্য হতেন।[২৮]
অধিনায়কত্ব লাভ
[সম্পাদনা]১৯২০ সালের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত অধিনায়ক সিরিল উইলকিনসন মৌসুমের অধিকাংশ সময় খেলার বাইরে ছিলেন। এছাড়াও শুরুর দিকের খেলাগুলোয়ও তাকে দেখা যায়নি। দলের একমাত্র শৌখিন ও নিয়মিত খেলোয়াড় ফেন্ডারকে উইলকিনসনের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্বভার দেয়া হয়।[৩০] দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম দুই খেলায় দলের জয়ে নেতৃত্ব দেন। প্রথম বারো খেলার দশটিতেই দল জয় পায়। ঐ মৌসুমে বেশ কয়েকবার দলের নেতৃত্বের বাইরে ছিলেন। শেষের দিকের সপ্তাহগুলোয় তার প্রত্যাবর্তনে বেশ রান খরায় ভোগে। দুইটি গুরুত্বপূর্ণ খেলায় অংশ নেননি ও ফেন্ডারকে দলের অধিনায়ক হিসেবে পরিচালনা করায় অনুমতি দেন।[৩১] ঐ মৌসুমে সারে দলে কার্যকরী বোলারের অভাব ছিল। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় ১০৯ উইকেট নিয়ে শীর্ষস্থানীয় বোলার ছিলেন তিনি।[৩২] সকল প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ২১.৪০ গড়ে ১২৪ উইকেট দখলসহ প্রথমবারের মতো এক মৌসুমে শতাধিক উইকেট পান।[১৪] ব্যাটহাতে ধারাবাহিক সফলতা পাননি। মৌসুমের পরবর্তী সময়ে কিছু রান পাওয়ায় ২০.৫১ গড়ে ৮৪১ রান তুলতে সক্ষম হন।[১৭][৩২]
প্রত্যেক খেলাতেই ফেন্ডার ব্যাট, বল কিংবা দর্শনীয় ফিল্ডিংয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখতেন। তার অধিনায়কত্বও বেশ কার্যকরী ছিল। দর্শকদের মাঝে এগুলো বেশ সাড়া জাগায় ও সারের বিনোদনধর্মী খেলায় প্রধান চালিকাশক্তি ছিলেন।[৩৩] পেস বোলিংয়ের পরিবর্তে আনঅর্থোডক্স পদ্ধতি ব্যবহার করেন তিনি যা সারে দলকে বেশকিছু খেলায় জয়লাভে সহায়তা করে।[৩৪] পাশাপাশি, ফেন্ডারের ব্যাটিং ও বোলিংও বেশকিছু খেলায় সারের জয়ে সহায়তা করেছিল।[৩৫] কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে সারে দল তৃতীয় স্থান দখল করে। শেষ খেলায় মিডলসেক্সের বিপক্ষে হেরে যায় তার দল। জয়লাভে সক্ষম হলে হয়তো তারা চ্যাম্পিয়ন হতে পারতো।[৩৬] জয়ের জন্য সারে দলের দরকার ছিল ২৪৪ রান। তবে, ফেন্ডারের নির্দেশনায় ব্যাটসম্যানেরা দ্রুতগতিতে রান তুলতে সচেষ্ট হলে এই নেতিবাচক ফলাফল আসে। এ পরাজয়ের পর তিনি নিজেই স্বীয় দোষ স্বীকার করেন।[৩৭] তাস্বত্ত্বেও, পরের মৌসুমের জন্য পার্সি ফেন্ডারকে স্থায়ীভাবে অধিনায়ক হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। [৩৮]
১৯২০ মৌসুমের শেষদিকের খেলায়[প ২] নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে সারে দল লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ও ফেন্ডারের ব্যাটিংকালে একচ্ছত্র প্রভাববিস্তার করে। শুরুতেই আউট হওয়া থেকে বেঁচে গেলে তিনি নির্বিচারে, আক্রমণাত্মক মেজাজে মাত্র ৩৫ মিনিটে শতরানে পৌঁছেন যা ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে দ্রুততম সময়ে শতরানের রেকর্ডরূপে বিবেচিত হয়ে আসছে।[প ৩] তিনি ১১৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন ও অ্যালান পিচের সাথে ৪২ মিনিটে ১৭১ রানের জুটি গড়েছিলেন।[৩৯] তবে, দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করা ফেন্ডারের সেঞ্চুরিটি ঐ সময়ে রেকর্ডরূপে চিহ্নিত করা হয়নি। ঐ সময়ে ক্রিকেট রেকর্ড রাখা হবার অনুশীলন করা হতো না ও অন্যান্য ইনিংসগুলো সম্ভবতঃ আরও দ্রুততর ছিল। সারে খেলায় জয় পায়।[৩৯]
জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্সের মধ্যকার খেলায় ৪০ মিনিটে ৫০ রান তুলেন। খেলায় জেন্টলম্যানের পক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল। ফলশ্রুতিতে, অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য এমসিসি দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্তিতে প্রভাববিস্তার করতে পারে।[৩২] গণমাধ্যমের কিছু অংশে ফেন্ডারকে দলের অধিনায়ক হিসেবে রাখার কথা বলা হলেও এমসিসি দলের অধিনায়ক হিসেবে রেজি স্পুনারকে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু, তার অনুপস্থিতিতে জনি ডগলাসকে অধিনায়কের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ফেন্ডারকে দলের সদস্য করা হয় ও গণমাধ্যমে তার অন্তর্ভুক্তিকে আনুষ্ঠানিকতায় ভরপুররূপে চিহ্নিত করা হয়েছিল।[৪১]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
[সম্পাদনা]১৯২০ সাল থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[৪২][৪৩] এ সময়ে তিনি এমসিসি দলের সঙ্গে ১৯২০-২১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ও ১৯২২-২৩ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন।
অস্ট্রেলিয়া সফরে এমসিসি দল পাঁচ খেলার সিরিজের সবকটিতেই হেরে বসে।[প ৪][৪৬] ফেন্ডার অনিয়মিতভাবে খেলেন ও সফরের শুরুর দিকে বেশ কমই সফলতা পেয়েছেন।[৪৭] ডগলাস খুব কমই বোলার হিসেবে তাকে ডেকেছেন।[৪৮] প্রথম টেস্টের জন্য শেষ পর্যায়ে একাদশের বাইরে রাখা হয় ও দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে ছিলেন।[৪৯] অবশেষে তৃতীয় টেস্টে খেলার জন্য তাকে মনোনীত করা হয়। অসুস্থতার কারণে জ্যাক হার্ন স্বেচ্ছায় নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন ও প্রস্তুতিমূলক খেলায় ফেন্ডার বেশ ভালো করেছিলেন।[৫০] দলীয় ব্যবস্থাপক ফ্রেডরিক টুন ডগলাসের পরিবর্তে ফেন্ডারকে পেতে চেয়েছিলেন। তার এ প্রস্তাবনা দলের শীর্ষস্থানীয় পেশাদার ক্রিকেটারদের দুইজন সমর্থনও ব্যক্ত করেছিলেন।[৫১] তবে, ডগলাস তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।[৫২] ১৪ জানুয়ারি, ১৯২১ তারিখে ফেন্ডারের টেস্ট অভিষেক হয়। তবে, ব্যাট কিংবা বল হাতে তেমন সফলতা পাননি তিনি।[১২] এরজন্য অংশতঃ পূর্ববর্তী সপ্তাহগুলোয় অনুশীলনীমূলক খেলায় অনুপস্থিতিই দায়ী।[৫৩] তিনি চার্লস কেলেওয়ের ক্যাচ তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন ও পরবর্তীকালে ১৪৭ রান তুলেন।[৫৪]
সিরিজের বাদ-বাকী খেলায়ও তাকে রাখা হয়। চতুর্থ টেস্টে ৫/১২২ এবং চূড়ান্ত ও সর্বশেষ খেলায় ৫/৯০ পান। ৩৪.১৬ গড়ে ১২ উইকেট নিয়ে ইংরেজদের টেস্ট বোলিং গড়ে শীর্ষস্থানে ছিলেন। একমাত্র ইংরেজ টেস্ট বোলার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার কঠিন পিচে বলকে ঘুরাতে সক্ষমতা দেখান। তবে সচরাচর তিনি সঠিকভাবে বোলিং করেননি।[৫৫] ব্যাট হাতে চতুর্থ টেস্টে ৫৯ রান তুলেন ও দুইবার চল্লিশ রানের কোটা অতিক্রম করতে পেরেছিলেন।[১২] সফরের শেষ খেলায় দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১২ উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে, প্রথম ইনিংসে ৭/৭৫ পান।[১২] সাধারণভাবে তিনি গরম আবহাওয়ায় সতীর্থদের তুলনায় মানিয়ে নিলেও ফিল্ডিংকালে পায়ের দূর্বলতায় শক্ত মাঠে বেশ ব্যথা অনুভব করতেন।[৫৩] সফরের সকল খেলায় অংশ নিয়ে ২৭.০৮ গড়ে ৩২৫ রান ও ৩২.৭১ গড়ে ৩২ উইকেট পেয়েছিলেন।[১৪][১৭]
শৌখিন খেলোয়াড় বিধায় সফরের জন্য ফেন্ডারকে কোন অর্থ প্রদান করা হতো না। তবে, কিছু ব্যয়ভার বহনের জন্য এমসিসি অর্থ প্রদান করে। ঐ সময়ে প্রায়শঃই অনেক পেশাদার ক্রিকেটারকে পকেট থেকে অর্থ খরচ করতে হতো। এ ব্যয়ভার বহনের জন্য ফেন্ডার ও দলীয় সঙ্গী রকলি উইলসন ঐ সফরকালে বেশকিছু সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে প্রতিবেদন লিখতেন। তবে, তাদের মন্তব্যগুলো অস্ট্রেলিয়ায় তেমন জনপ্রিয়তা লাভে সক্ষমতা দেখায়নি।[৫৬] বিশেষতঃ চূড়ান্ত টেস্টে উইলসন অস্ট্রেলীয় দর্শকদের উদ্দেশ্য করে সমালোচনা করে লিখলে তা আরও নেতিবাচক আকার ধারণ করে।[৫৭] অস্ট্রেলিয়ার সংবাদপত্রে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হলে ফেন্ডারকে বেশ কয়েকবার দর্শকেরা ঘেরাও করেছিল।[৫৮] মাঝে-মধ্যে দর্শকেরা ফেন্ডার বাড়ি ফিরে যাও শিরোনামে বিদ্রুপাত্মক লেখা উঁচিয়ে ধরতো। ফেন্ডারও এগুলো হাল্কা মেজাজে নেন ও অবরোধকারীদের সাথে সুর মেলাতেন।[৫৯] পরবর্তী সফরগুলোয় এমসিসি অংশগ্রহণকৃত খেলাগুলোর বিষয়ে কোনরূপ লেখনি থেকে ক্রিকেটারদেরকে বারণ করে।[৫৬] দেশে ফেরার পথে ফেন্ডার সফরকে ঘিরে লিখেন ও 'ডিফেন্ডিং দি অ্যাশেজ' শিরোনামে গ্রন্থ প্রকাশ করেন। তবে, এ গ্রন্থে নিজস্ব মত প্রকাশ করেননি ও কোন বিতর্ক থেকে বিরত থাকেন।[৬০]
১৯২১ সালে ইংল্যান্ড সফরে পাঁচ টেস্ট খেলার জন্য অস্ট্রেলিয়া দল আসে।[৫৮] আবারও কিছু সংবাদপত্রে ফেন্ডারকে ইংল্যান্ড দলের ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসেবে মনোনয়নের কথা তুলে ধরে। তাস্বত্ত্বেও ডগলাসকে ঐ দায়িত্বে রাখা হয়েছিল। সিরিজ যতোই গড়াতে থাকে ততোই কিছু লেখক ফেন্ডারকে উপেক্ষিত হবার কথা জানায়।[৬১] মৌসুমের শুরুটা ফেন্ডার বেশ দূর্বলভাবে শুরু করেন ও প্রথম তিন টেস্টে দলের বাইরে রাখা হয়। সবগুলোতেই অস্ট্রেলিয়া জয় তুলে নেয়।[৬২] ইংল্যান্ড দল নির্বাচকমণ্ডলী ঐ গ্রীষ্মে ৩০জন খেলোয়াড়কে দলে অন্তর্ভুক্ত করেন। তাদের অনেকেই গুণগতমানসম্পন্ন না হবার ফলে সমালোচিত হন। মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে ফেন্ডার ধারাবাহিকভাবে উইকেট পেতে শুরু করেন। জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্সের খেলায় সেঞ্চুরি হাঁকান। এরফলে চতুর্থ টেস্টের জন্য মনোনয়ন পান।[৬৩] বৃষ্টির কারণে খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়।[৬৪] ফেন্ডার অপরাজিত ৪৪ রান করেন ও খেলায় ৩০ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট পান।[৬৫] চূড়ান্ত টেস্টটিও বৃষ্টির কবলে পড়ে। ঐ খেলায়ও অংশ নেন তিনি। তবে দলে খুব কমই অবদান রাখেন।[৬৬] পরবর্তীকালে তিনি মন্তব্য করেন যে, অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কত্বে থাকা ওয়ারউইক আর্মস্ট্রংয়ের কাছ থেকে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন।[৬২]
১৯২১ সালে সারে দলের পক্ষে ফেন্ডার প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। সারে দলের পক্ষে উপর্যুপরী দুই বছর খেলাকালীন মৌসুমের চূড়ান্ত খেলায় মিডলসেক্সের বিপক্ষে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা নির্ধারণী খেলায় অংশ নিলেও আবারও তারা হেরে বসে। গুণমানসম্পন্ন বোলারের অভাবের বিষয়টিতে দলটি ভোগে ও পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করে। উইজডেন ফেন্ডারকে মাঝারিমানের বোলার নিয়ে দল পরিচালনার বিষয়টিতে উচ্ছসিত প্রশংসা করে ও মন্তব্য করে যে, সারের অধিকাংশ সফলতাই তার নিপুণ অধিনায়কত্বের ফলে সম্পন্ন হয়েছে।[৬৭] সারের জয়ের বেশকিছু খেলা খুবই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল ও ফেন্ডারের ইনিংস ঘোষণার ফলে সম্ভব হয়েছে।[৬৮] সবগুলো প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো সহস্রাধিক রান ও শতাধিক উইকেট লাভের ন্যায় ডাবল লাভ করেন। ২১.৩৩ গড়ে ১,১৫২ রান ও ২৬.৫৮ গড়ে ১৩৪ উইকেট পান তিনি।[১৪][১৭] এছাড়াও প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ডাবল লাভের পাশাপাশি ৫০ ক্যাচ লাভ করেন। পরবর্তীকালে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কেবলমাত্র পিটার ওয়াকার ঐ গৌরবের সাথে নিজের নামকে অন্তর্ভুক্ত করেনন।[১৭][৬৯]
শীর্ষে আরোহণ
[সম্পাদনা]১৯২২ সালে ১,১৬৯ রান ও ১৫৭ উইকেট লাভ করে ডাবল লাভ করেন।[১৪][১৭] চ্যাম্পিয়নশীপে সারে দল তৃতীয় স্থান দখল করে। আবারও দলে কার্যকরী বোলারের অভাবের কথা ফুঁটে উঠে। উইজডেন দলের সফলতায় মন্তব্য করে যে, ফেন্ডারের হারানোর কিছুই নেই।[৭০] প্রথমবারের মতো চশমা পরিধান করেন। হ্যামশায়ারের বিপক্ষে ১৩০ মিনিটে ১৮৫ রান তুলেন। এছাড়াও অন্যান্য খেলার মধ্যে লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৫০ মিনিটে ৯১ ও কেন্টের বিপক্ষে ৯০ মিনিটে ১৩৭ রান সংগ্রহ করা অন্যতম ছিল।[৭১] ১৯২২ সালে কোন টেস্ট খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। সিডনি পারডন উল্লেখ করেন যে, একমাত্র শৌখিন ক্রিকেটার হিসেবে ইংল্যান্ড দলে তার অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত ছিল।[৭১] মৌসুম শেষে আলফ্রেড জিককের পরিবর্তে জর্জ হ্যারিসের সাথে জনসমক্ষে হাজির হবার সৌভাগ্য লাভ করেন।[৭২] হ্যারিস এমসিসির প্রভাববিস্তারকারী কোষাধ্যক্ষ ও কেন্টের সভাপতি ছিলেন।[৭৩]
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর
[সম্পাদনা]১৯২২-২৩ মৌসুমে এমসিসি দলের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। সাংবাদিকদের কাছ থেকে সমর্থন পেলেও তার অধিনায়ক মনোনীত করা হয়নি। ফ্রাঙ্ক মান দলকে নেতৃত্ব দেন। তবে তার মনোনয়ন গণমাধ্যম থেকে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। খেলায় তেমন যোগ্যতা না থাকা স্বত্ত্বেও ও মিডলসেক্সের অধিনায়ক হওয়ায় তিনি নির্বাচকমণ্ডলীর কাছ থেকে সমর্থন পাবার কথা তুলে ধরে।[৭৪] মান ফেন্ডারকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সহঃ অধিনায়ক হিসেবে মনোনয়ন দেন। তবে, সফরের প্রত্যেক খেলায় অংশ নেয়ার ফলে ফেন্ডার দলকে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পাননি।[৭৪] ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে সিরিজে পরাজিত হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাটিং পিচে বেশ অস্বস্তিভোগের মুখোমুখি হন।[প ৫] বল বাউন্স খেতে থাকে ও ইংল্যান্ডের টার্ফ উইকেটের তুলনায় ভিন্নদিকে বাঁক খেতে থাকে।[৭৪] তিনি চমৎকার ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতে থাকেন। প্রথম খেলায় ৯৬ রান তুলেন ও দুইবার পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করেন। তন্মধ্যে তৃতীয় টেস্টে স্বভাববিরুদ্ধভাবে রক্ষণাত্মক ধাঁচে খেলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। তবে, সফর যতোই সামনে যেতে থাকে ততোই তার ব্যাটিংয়ের ভিত্তি গড়ে উঠতে থাকে।[১২][৭৬] সাধারণভাবে বোলার হিসেবে তিনি সফলতা পেয়েছেন তবে, টেস্টে বেশ রান দিতে থাকেন।[৭৬] দলীয় সঙ্গীদের মতে, দ্বিতীয় টেস্টে তিনি তার সেরা বোলিংনৈপুণ্য প্রদর্শন করতে পেরেছিলেন। প্রথম দিনে তিনি ৪/২৯ পান। দক্ষিণ আফ্রিকানরা ব্যাট হাতে তার বোলিং মোকাবেলা করতে সক্ষম হচ্ছিল না। পরবর্তীকালে তিনি তার খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা বোলিং হিসেবে উল্লেখ করেন।[৭৭] পাঁচ টেস্টের সবগুলোয় অংশ নিয়ে ১৪.২২ গড়ে ১২৮ রান ও ৪১.৮০ গড়ে ১০ উইকেট পান।[৭৮][৭৯] তবে, সকল প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ২২.৯৫ গড়ে ৪৫৯ রান ও ১৯.৫৮ গড়ে ৫৮ উইকেট শিকার করেন তিনি।[১৪][১৭]
১৯২৩ সালে ফেন্ডার তার সেরা অল-রাউন্ড ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। এই মৌসুমে ১,৪২৭ রান ও ১৭৮ উইকেট পান। রানের দিক দিয়ে তিনি সর্বোচ্চ ও উইকেটের দিক দিয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রহ করেন।[১৪][১৭] এবারও কোন টেস্ট খেলা হয়নি। তবে, দুইটি টেস্ট পূর্ব-প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশ নেন পার্সি ফেন্ডার। প্রথম খেলায় বেশ সফলতা পান। ৬/৪৪ বোলিং পরিসংখ্যানসহ ৪৯ রান তুলেন। তবে, অধিনায়কত্ব লাভের বিষয়ে তার এ সাফল্য চাপা পড়ে যায়। ফেন্ডারকে কোন খেলায় অধিনায়কত্ব লাভের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। গণমাধ্যমে ফেন্ডারের অধিনায়কত্বের দাবীর বিষয়ে উপেক্ষিত হবার জন্য দল নির্বাচকমণ্ডলীকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। সাংবাদিকদের মতে, তিনিই সর্বাধিক উপযুক্ত। একজন লেখক মন্তব্য করেন যে, লর্ডসে ফেন্ডারের সাফল্যে গর্বিত; কিন্তু রাজনীতির কারণে তাকে নিযুক্ত করা হচ্ছে না।[৮০] ঐ সময়ে শৌখিন ও পেশাদার ক্রিকেটারগণ ভিন্ন ফটক দিয়ে মাঠে প্রবেশ করতো। তবে, ফেন্ডার পেশাদারদের ফটক দিয়েই মাঠে প্রবেশ করতেন।[৮১] এরফলে লর্ড হ্যারিসের কাছ থেকে ফেন্ডারকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। তিনি বলেন, আমরা লর্ডসে ফেন্ডারকে এভাবে দেখতে চাই না।[৮২] চ্যাম্পিয়নশীপের তালিকায় সারে চতুর্থ স্থান দখল করে। এবারও বোলারদের জন্য দলের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়েছিল। ব্যাটসম্যানেরা ধারাবাহিকভাবে বৃহৎ অঙ্কের রান তুললেও বোলার সঙ্কটে প্রতিপক্ষকে রুখতে ব্যর্থ হয় ও অনেক খেলাই ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল। ফেন্ডারের ব্যাটিং কার্যকরী হলেও তিনি আরও সংযত হন এবং রক্ষণাত্মক ভঙ্গীমার দিকে ঝুঁকে পড়েন।
বিতর্ক ও স্থানচ্যুতি
[সম্পাদনা]১৯২৪ সালে ফেন্ডারের খেলার মান দূর্বলতর হতে থাকেন। ব্যাট ও বল হাতে চমৎকার সূচনা করেন। মাঝে-মধ্যে সফলতা লাভ করলেও খেলায় ধারাবাহিকতার অভাব পরিলক্ষিত হয়।[৮৩] চ্যাম্পিয়নশীপে সারে দল তৃতীয় স্থান দখল করে।[৮৪] সকল প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ১,০০৪ রান ও ৮৪ উইকেট দখল করেন।[১৪][১৭] আরও একবার ঐ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার অধিনায়কত্বের দাবী উঠে। এছাড়াও, ১৯২৪-২৫ মৌসুমে এমসিসি দল অস্ট্রেলিয়া সফরে যায়। তবে, মনোনীত অধিনায়ক আর্থার জিলিগানের বিষয়ে প্রচারমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে।[৮৫] প্রথম দুই টেস্টে অংশ নিলেও তেমন সফলতা পাননি; ফলশ্রুতিতে দল থেকে বাদ পড়েন।[৮৬] এরপর আর একটিমাত্র টেস্টে অংশ নিতে পেরেছিলেন তিনি। সিরিজ চলাকালে জিলিগান আহত হলে ফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে ডগলাসকে দল নির্বাচকমণ্ডলী অধিনায়ক হিসেবে মনোনয়ন দেন।[৮৭] ঐ শীতে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য দলের সদস্য নেয়া হলেও ফেন্ডারকে নির্বাচিত করা হয়নি। এ সিদ্ধান্তের ফলে তিনি প্রচণ্ড মর্মাহত হন।[৮৮]
১৯২৫ সালে ফেন্ডার নিজের সেরা ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন।[৮৯] ১,০৪২ রান ও ১৩৭ উইকেট নিয়ে ডাবল লাভ করেন।[১৪][১৭] সারে দল পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে। মৌসুম শেষে ওভালের শিরোপা নির্ধারণী খেলায় পরপর পাঁচ বছর খেলে। তবে, দলটি ট্রফি জয়ী ইয়র্কশায়ারকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আহ্বান করতে পারেনি। এটিই ফেন্ডারের নেতৃত্বে সর্বশেষবার পয়েন্ট তালিকার প্রায় শীর্ষে আরোহণ করেছিল।[৯০] গণমাধ্যমে ফেন্ডারকে ১৯২৬ সালের অ্যাশেজ সিরিজের ইংরেজ অধিনায়ক হিসেবে দেখা হচ্ছিল।[৯১] তাস্বত্ত্বেও আর্থার কারকে মনোনীত করা হয়।[৯২] ইংল্যান্ডের ক্রিকেট অধিনায়কদের বিষয়ে এক জরীপে অ্যালান গিবসন মন্তব্য করেন যে, ফেন্ডার ও কারকেই ঐ সময়ের কাউন্টি অধিনায়ক হিসেবে প্রকৃতভাবে অধিনায়কের দাবীদার মনে করা হয় যা অন্য কাউন্টি অধিনায়কদের টেস্ট খেলায় দক্ষতার অভাব ও চেষ্টা কিংবা বাতিল হবার মতো বিষয়ে দাঁড়ায়।[৯৩] চূড়ান্ত টেস্টের পূর্বে কারকে বাদ দেয়া হয়। বিশিষ্ট সাংবাদিক হোম গর্ডনের ধারণা ছিল প্রকৃত শৌখিন খেলোয়াড় হিসেবে গিবসনের মন্তব্যে ফেন্ডারকে ফোনের মাধ্যমে পরবর্তী ইংরেজ অধিনায়ক করা হবে। তবে, চূড়ান্ত টেস্টের জন্য পার্সি চ্যাপম্যানকে দায়িত্ব ভার অর্পণ করা হয় ও ইংল্যান্ড সিরিজ অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়।[৯৪] তবে, স্ট্রিটনের অভিমত, এ সময়ে ফেন্ডারকে কখনো এ দায়িত্ব প্রদানের জন্য অগ্রাধিকার দেয়া হয়নি।[৯১] টেস্ট প্রস্তুতিমূলক খেলা ও জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে প্লেয়ার্সের বিপক্ষে খেলেন।[১২] কিন্তু, গ্রিভিল স্টিভেন্সকে ইংল্যান্ড দলে নেয়া হয়।[৯১] সকল প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে তিনি আবারও ১,০৪৩ রান ও ১১২ উইকেটের ন্যায় ডাবল লাভ করেন।[১৪][১৭] ঐ মৌসুম শেষে লর্ড টেনিসনের নেতৃত্বাধীন দলের সদস্যরূপে জ্যামাইকায় সংক্ষিপ্ত সফরে যান। সেখানে তিনি তিনটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।[৯৫]
শেষের বছরগুলো
[সম্পাদনা]১৯২৭ সালের শুরুতে সাবেক ইংল্যান্ডের সাবেক টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক লিওনেল টেনিসনের নেতৃত্বে পার্সি ফেন্ডার ও আর্নেস্ট টিল্ডসলে-সহ ইংরেজ দল ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলতে যায়।[৯৬] দলটি জ্যামাইকা একাদশের বিপক্ষে তিনটি প্রতিনিধিত্বমূলক প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেয়।
পরবর্তী মৌসুমগুলোয় সারে দল চ্যাম্পিয়নশীপের তালিকার নিচের দিকে চলে যেতে থাকে।[৯০] ১৯২৭ সালে তিনি সহস্রাধিক রানের কোঠায় পৌঁছতে ব্যর্থ হন। তবে গড়ের দিক দিয়ে পাঁচ মৌসুমের মধ্যে শীর্ষে ছিলেন। এছাড়াও, ২৫.৭৫ গড়ে ৮৯ উইকেট তুলে নেন তিনি।[১৪][১৭] ঐ মৌসুমে খেলোয়াড়ী জীবনের অন্যতম সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করিয়েছিলেন। মিডলসেক্সের বিপক্ষে ১১ বলের মধ্যে ছয় উইকেট পান। এরফলে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে কম বলে ছয় উইকেট পাবার কৃতিত্ব প্রদর্শনে সক্ষমতা দেখান। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে প্যাট পোকক ১১ বলে সাত উইকেট পেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ১৯ বলে সাত উইকেট পেয়েছিলেন। খেলায় তিনি ৭/১০ লাভ করেন।[৯৭] পরবর্তী দুই মৌসুম ব্যাট হাতে ব্যক্তিগত সেরা মৌসুম পাড় করেন। ১৯২৮ সালে ৩৭.১৮ গড়ে ১,৩৭৬ রান সংগ্রহ করেন যা তার এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গড় ছিল। ১৯২৯ সালে সর্বোচ্চ রান তুলেন ১,৬২৫।[১৭] বল হাতে তিনি কম সফল ছিলেন। ১৯২৮ সালে ১১০ উইকেট পেলেও বোলিং গড় ২৮-এ পৌঁছে। ১৯২৯ সালে ৩০-এর বেশি গড়ে ৮৮ উইকেট পেয়েছিলেন।[১৪]
১৯২৯ সালের শুরুতে চমৎকার মৌসুমের সূচনা করেন। ফলশ্রুতিতে, ইংল্যান্ড দলে খেলার জন্য মনোনীত হন ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক টেস্ট খেলার সুযোগ লাভ করেন।[৭] এ টেস্টটিই তার সর্বশেষ টেস্ট ছিল। সর্বমোট ১৩ টেস্টে অংশ নিয়ে ১৯.০০ গড়ে ৩৮০ রান ও ৪০.৮৬ গড়ে ২৯ উইকেট পেয়েছিলেন।[৯৮] তবে, ঐ মৌসুমে সারে দল পয়েন্ট তালিকায় দশ স্থানে চলে যায়।[৯০]
বডিলাইন সিরিজ
[সম্পাদনা]১৯২৮-২৯ মৌসুমে এমসিসি দল অস্ট্রেলিয়া গমন করে। ঐ সিরিজেই অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের টেস্ট অভিষেক ঘটেছিল। ঐ সফরে তিনি সাংবাদিক হিসেবে যান। ফেন্ডারের অভিমত, ব্র্যাডম্যান অন্যতম মিশ্র গড়নের ভালো-মন্দ ব্যাটিংয়ের অধিকারী চরিত্রের যা তিনি আর কখনও কারো মাঝে দেখেননি।[৯৯] তবে, তিনি তার সক্ষমতার সম্যক পরিচয় ঐ সময়ে দেখতে পাননি।[১০০] ১৯৩০ সালে ব্র্যাডম্যান ইংল্যান্ডে অস্ট্রেলিয়ার সদস্যরূপে আসেন। ঐ সিরিজে তিনি অত্যন্ত সফলতম ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পেয়েছিলেন।[১০১] ঐ মৌসুমে ফেন্ডারের চিন্তা-ধারা বেশ পরিবর্তন করে ফেলেন। বিশেষ করে ফেন্ডারের কাছ থেকে সমালোচিত হবার পর সারের বিপক্ষে তিনি ২৫২ রান তুলেন।[১০১][১০২] পূর্ববর্তী মৌসুমের তুলনায় এবার আরও কম খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। টেস্ট খেলা নিয়ে সংবাদপত্রে লিখতে থাকেন পার্সি ফেন্ডার।[১৭][১০৩] ১৯৩০ মৌসুমে ৭০০ রানসহ ৬৫ উইকেট পান।[১৪][১৭] তবে, অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজ জয়ে ব্র্যাডম্যানের কাছে ঋণী হয়ে থাকবে অস্ট্রেলিয়া দল। সাত ইনিংসে অংশ নিয়ে ৯৭৪ রান সংগ্রহ করেন ও অনেকগুলো রেকর্ড ভঙ্গ করেন ডন ব্র্যাডম্যান।[১০৪] তার সফলতার বিষয়ে ইংরেজ কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট সজাগ ছিলেন।[১০৫] ফেন্ডারসহ আরও অনেকেই ব্র্যাডম্যানের সফলতায় বাঁধার প্রাচীর গড়ে তুলতে নতুন কৌশল গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হন।[১০১]
অবসর
[সম্পাদনা]১৯৩১ সালের শুরুতে ফেন্ডার সারের অধিনায়কত্ব ত্যাগের বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন জারদিনকে নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তাব করলেও সারে কর্তৃপক্ষ তা প্রত্যাখ্যান করে।[১০৬] ঐ মৌসুম ফেন্ডার ৯১৬ রান ও ৮৪ উইকেট পেয়েছিলেন।[১৪][১৭] তবে, অধিনায়ক হিসেবে থাকা স্বত্ত্বেও খেলায় অনুপস্থিত থেকে সাংবাদিকতায় কাজ করায় সারে কর্তৃপক্ষ বেশ অসন্তুষ্ট হয়।[১০৩] এছাড়াও, বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলায় মাত্র এক বল খেলার পর সারের ইনিংস ঘোষণাও কর্তৃপক্ষকে ক্ষিপ্ত করে তুলে।[১০৭] ফলশ্রুতিতে, জানুয়ারি, ১৯৩২ সালে ফেন্ডারকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়। কিছু সময়ের জন্য সংবাদমাধ্যমে গুঞ্জনের সৃষ্টি হয় ও দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে।[১০৭] ক্লাব কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে জানায় যে, তার উপযুক্ত খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে থাকবেন ও মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জারদিনকে এ দায়িত্ব দেয়া হবে।[১০৮] জারদিন এ দায়িত্বভার নেবার জন্য সম্মতি জানান।[১০৯] ফেন্ডার জারদিনের মনোনয়নে সমর্থন ব্যক্ত করেন ও তার নেতৃত্বে খেলা চালিয়ে যাবার কথা বলেন।[১০৭]
খেলার ধরন
[সম্পাদনা]ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেন্ডার বেশ আক্রমণাত্মক মারে অগ্রসর হতেন। বলকে যথেচ্ছভাবে আঘাত করার চেষ্টা করায় বিভিন্ন ধরনের স্ট্রোকে পরিপূর্ণ ছিল। ফলে অধিনায়কদেরকে সঠিক জায়গায় কার্যকরী ফিল্ডার অবস্থান করাতে বেশ দূরূহ হয়ে পড়তো।[১১০] স্বীয় ওজন ও সম্মুখের পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে শক্তিশালী কব্জির কারুকাজে একই ধরনের বলকে মাঠের বিভিন্ন জায়গায় প্রেরণ করতেন।[১১১] ড্রাইভ, পুল ও কাট তার প্রিয় শট ছিল।[১১০] ৩৫ মিনিটে গড়া সেঞ্চুরির ন্যায় আরও অনেকগুলো ইনিংস খুব দ্রুত সম্পন্ন করেছেন।[১১০] ক্রিকেট ঐতিহাসিক জেরাল্ড ব্রডরিব হিসেব কষে দেখিয়েছেন যে, প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ফেন্ডার দ্রুতগতিসম্পন্ন রান সংগ্রাহক ছিলেন ও ঘণ্টায় গড়ে ৬২ রান তুলেছেন।[১] এছাড়াও, ১৩২ গজ দূরে বল প্রেরণের রেকর্ডও রয়েছে তার।[১] প্রধানত স্লিপ অঞ্চলে ফিল্ডিং করতেন। দ্রুতলয়ে সাড়া দিতেন ও কিছু দূরত্ব বজায় রেখে ক্যাচ তালুবন্দী করতে অগ্রসর হতেন।[১১২]
গণমাধ্যমে প্রায়শঃই তাকে অধিনায়কের উপযুক্ত প্রার্থীরূপে দেখার কথা বলা হলেও তাকে কখনো ইংল্যান্ডের দলনেতা করা হয়নি। এর কারণ সম্পর্কে অনেক ধরনের গুজব রয়েছে। ইহুদি হবার জন্যই তাকে এড়িয়ে যাওয়া হতো বলে একটি মন্তব্য আসে।[১১৩][১১৪] তবে ফেন্ডার নিজেকে ইহুদি বলেননি।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]ফেন্ডার বাবার সাথে কাজ করতেন। ১৯১৪ সালে যুদ্ধ ছড়িয়ে পরার পূর্ব-পর্যন্ত ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে যাতায়াত ছিল তার।[১৮] ব্যবসায়ে ধৈর্য্যহীনতার প্রেক্ষিতে বাবার অনুমোদনক্রমে প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করে স্বীয় ভ্রাতা রবার্টকে সাথে নিয়ে নিজস্ব মদ তৈরির প্রতিষ্ঠান খোলেন। যোগাযোগের বিস্তৃতির কারণে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।[১১৫]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ফেন্ডার রয়্যাল এয়ার ফোর্সে যোগ দেন। তিনি দক্ষিণ ইংল্যান্ডে নিযুক্ত হন। লোকজন ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। মিত্রবাহিনীর ইউরোপ অভিযানের সাথে জড়িত অপারেশন ওভারলর্ডে তিনি ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে তিনি কাজ করেন।[১১৬]
১৯২০-এর দশকে রক্ষণশীল দলের সংসদ সদস্য হবার জন্য প্রার্থীতায় চারবার প্রস্তাব পান। তবে, প্রত্যেকবারই তিনি অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।[১১৭] ১৯৫২ থেকে ১৯৫৮ সময়কালে রক্ষণশীল সদস্য হিসেবে লন্ডন কাউন্টি কাউন্সিলের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর লন্ডনের ডেপুটি লেফটেন্যান্ট মনোনীত হন।[১১৮]
ডেইলি এক্সপ্রেসে এমসিসি দলের অস্ট্রেলিয়া সফরকে নিয়ে প্রতিবেদন লিখেন।[১১৯] ক্রিকেটার হিসেবে কর্মজীবনকালে পার্সি ফেন্ডার লন্ডনের অনেকগুলো সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে লিখতেন এবং বেতারেও ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।[১১৭] ক্রিকেট সফর নিয়ে চারটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন পার্সি ফেন্ডার। ১৯২০-২১ মৌসুমে ‘ডিফেন্ডিং দি অ্যাশেজ’ লেখার পর ১৯২৮-২৯ মৌসুমে সাংবাদিক হিসেবে লেখেন। ১৯৩০ ও ১৯৩৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে আসা অস্ট্রেলিয়ার সফরকে ঘিরেও তিনি লেখেন। পঞ্চম গ্রন্থটি অনেকটা আত্মজীবনীমূলক।[১২০][১২১]
১৯২৪ সালের ক্রিকেট মৌসুম শেষে ফেন্ডার বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেপ্টেম্বর, ১৯২৪ সালে রুথ ক্ল্যাপহাম নাম্নী অভিজাত সম্প্রদায়ের পরিচিত ব্যক্তিত্ব ও ম্যানচেস্টার জুয়েলারের কন্যার পাণিগ্রহণ করেন। ১৯২৩ সালে মন্টে কার্লোতে স্বাক্ষাৎ হয়েছিল তাদের।[১১৯] এ দম্পতির দুই সন্তান ছিল।[১] ১৯৩৭ সালে ব্রাইটস ডিজিজে আকস্মিকভাবে রুথের দেহাবসান ঘটে।[১১৯] ১৯৬২ সালে পুনরায় বিয়ের পিড়িতে বসেন। কিন্তু ১৯৬৮ সালে দ্বিতীয় পত্নী সুজান গর্ডনেরও মৃত্যু ঘটে।[১]
১৯৭০-এর দশকের শেষার্ধ্বে ফেন্ডার অন্ধ হয়ে যান। স্বীয় কন্যার সহায়তায় চলাফেরা করতেন ও ব্যবসা পরিচালনা করতেন। ১৯৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান ও টেস্ট ক্রিকেটের শততম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন করেন। অনুষ্ঠানে তিনি সর্ববয়োঃজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব ছিলেন।[১১২][১১৮] শেষের বছরগুলোয় নার্সিং হোমে কাটান ও ১৫ জুন, ১৯৮৫ তারিখে দেহাবসান ঘটে তার।[১] ১৪ জুলাই, ১৯৮৩ তারিখে বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা জ্যাক ম্যাকব্রায়ানের দেহাবসানের পর তিনিই সর্ববয়োঃজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন।
পাদটীকা
[সম্পাদনা]- ↑ Fender played football regularly as a goalkeeper. He made appearances for several amateur clubs and in non-League games for Fulham. In addition, he played in Belgium when he spent some time there working for his father. His most notable achievement was to play for the Casuals in the AFA Cup Final in 1913, won 3–2 by his team.[২৯]
- ↑ This was one of the matches in which Fender was not captain.[৩৯]
- ↑ Fender's century is the fastest in terms of minutes batted, but not in terms of deliveries faced. Although the number of deliveries faced by Fender was not recorded at the time, research has suggested his hundred came from between 40 and 46 balls; as of 2016, the hundred from fewest deliveries came from 34 balls, by David Hookes in 1982–83. Other batsmen have scored hundreds in even fewer balls, or in a faster time, but their innings are not included in most lists of records because they came in contrived circumstances where the bowlers aimed to concede runs quickly.[৩৯][৪০]
- ↑ Throughout Fender's career, the MCC organised and administered English cricket. Official English touring teams always played under the name of MCC and were only styled "England" during Test matches.[৪৪][৪৫]
- ↑ Matting pitches were used as an alternative to turf in some parts of the world where it was difficult to produce a good grass pitch. The matting was made of jute or coir,[৭৫] and laid over a surface which may have been sand, grass, soil or gravel.[৭৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ Swanton, E. W. (২০১১) [2004]। "Fender, Percy George Herbert (1892–1985)"। Oxford Dictionary of National Biography (online সংস্করণ)। Oxford University Press। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১২। (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন)
- ↑ Streeton, pp, 32–33.
- ↑ Streeton, p. 34.
- ↑ ক খ Streeton, p. 36.
- ↑ Streeton, p. 37.
- ↑ ক খ গ "Percy Fender (Cricketer of the Year)"। Wisden Cricketers' Almanack। London: John Wisden & Co। ১৯১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১২।
- ↑ ক খ Streeton, p. 25.
- ↑ Streeton, pp. 37–38.
- ↑ ক খ Streeton, p. 38.
- ↑ Streeton, p. 39.
- ↑ ক খ গ Streeton, p. 31.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "Player Oracle PGH Fender"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১২।
- ↑ Streeton, p. 46.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত "First-class Bowling in Each Season by Percy Fender"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১২।
- ↑ ক খ Streeton, p. 47.
- ↑ Streeton, pp. 48–49.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত থ "First-class Batting and Fielding in Each Season by Percy Fender"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১২।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Streeton, pp. 53–54.
- ↑ Streeton, p. 55.
- ↑ ক খ Streeton, p. 53.
- ↑ Streeton, p. 51.
- ↑ Streeton, pp. 57–58.
- ↑ Streeton, p. 59.
- ↑ Streeton, pp. 52, 63–64.
- ↑ Streeton, p. 64.
- ↑ Streeton, p. 65.
- ↑ Streeton, p. 66.
- ↑ ক খ Streeton, p. 30.
- ↑ ক খ গ Streeton, p. 67.
- ↑ Streeton. p. 69.
- ↑ Streeton, pp. 69–70.
- ↑ ক খ গ Streeton, p. 71.
- ↑ Streeton, p. 72.
- ↑ Streeton, pp. 77–78.
- ↑ Streeton, pp. 77–81.
- ↑ Streeton, pp. 70, 75.
- ↑ Streeton, p. 75.
- ↑ Streeton, p. 81.
- ↑ ক খ গ ঘ Streeton, pp. 85–92.
- ↑ "Records and Registers: First-class records — Batting"। Wisden Cricketers' Almanack। London: John Wisden & Co। ২০১২। পৃষ্ঠা 1,251। আইএসবিএন 978-1-4081-5634-6।
- ↑ Streeton, pp. 81–83.
- ↑ ACS (১৯৮২)। A Guide to First-Class Cricket Matches Played in the British Isles। Nottingham: ACS।
- ↑ "Marylebone Cricket Club Players"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "MCC History"। MCC। ৭ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৩।
- ↑ Peebles, I. A. R. (১৯৮৬)। "History (1900–1914)"। Swanton, E. W.; Plumptre, George; Woodcock, John। Barclay's World of Cricket (3rd সংস্করণ)। London: Willow Books in association with Barclays Bank PLC। পৃষ্ঠা 20। আইএসবিএন 0-00-218193-2।
- ↑ "The M.C.C. Team in Australia 1920–21"। Wisden Cricketers' Almanack। London: John Wisden & Co। ১৯২২। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১২।
- ↑ Streeton, p. 104.
- ↑ Streeton, pp. 100–01.
- ↑ Streeton, pp. 104–05.
- ↑ Streeton, pp. 99–100, 105.
- ↑ McKinstry, p. 196.
- ↑ Streeton, pp. 98–99.
- ↑ ক খ Streeton, p. 100.
- ↑ Streeton, p. 106.
- ↑ Streeton, pp. 99–100.
- ↑ ক খ Streeton, p. 103.
- ↑ McKinstry, p. 197.
- ↑ ক খ Streeton, p. 108.
- ↑ Streeton, p. 99.
- ↑ Streeton, p. 98.
- ↑ Streeton, pp. 110–11.
- ↑ ক খ Streeton, pp. 109–10.
- ↑ Streeton, p. 110.
- ↑ Streeton, p. 111.
- ↑ Streeton, p. 112.
- ↑ Streeton, p. 114.
- ↑ Pardon, Sydney H, সম্পাদক (১৯২২)। "Part II: Surrey"। Wisden Cricketers' Almanack। London: John Wisden & Co। পৃষ্ঠা 108–10।
- ↑ Streeton, p. 119.
- ↑ Streeton, p. 116.
- ↑ Pardon, Sydney H, সম্পাদক (১৯২৩)। "Part II: Surrey"। Wisden Cricketers' Almanack। London: John Wisden & Co। পৃষ্ঠা 81–83।
- ↑ ক খ Streeton, p. 122.
- ↑ Streeton, pp. 125–26.
- ↑ Prior, Katherine (২০০৬) [2004]। "Harris, George Robert Canning, fourth Baron Harris (1851–1932)"। Oxford Dictionary of National Biography (online সংস্করণ)। Oxford University Press। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১৩। (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন)
- ↑ ক খ গ ঘ Streeton, p. 127.
- ↑ Swanton, E. W.; Plumptre, George; Woodcock, John, সম্পাদকগণ (১৯৮৬)। "Glossary"। Barclay's World of Cricket (3rd সংস্করণ)। London: Willow Books in association with Barclays Bank PLC। পৃষ্ঠা 698। আইএসবিএন 0-00-218193-2।
- ↑ ক খ Streeton, p. 128.
- ↑ Streeton, pp. 128–29.
- ↑ "Test Batting and Fielding in Each Season by Percy Fender"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১২।
- ↑ "Test Bowling in Each Season by Percy Fender"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১২।
- ↑ Streeton, pp. 135–36.
- ↑ Streeton, p. 134.
- ↑ Streeton, p. 23.
- ↑ Streeton, pp. 137–41.
- ↑ "LV County Championship: County Championship Final Positions 1890–2010"। Wisden Cricketers' Almanack। London: John Wisden & Co। ২০১০। পৃষ্ঠা 575। আইএসবিএন 978-1-4081-2466-6।
- ↑ Streeton, p. 21.
- ↑ Streeton, p. 141.
- ↑ Streeton, pp. 24–25.
- ↑ Streeton, p. 137.
- ↑ Streeton, p. 142.
- ↑ ক খ গ Streeton, p. 145.
- ↑ ক খ গ Streeton, p. 146.
- ↑ Gibson, p. 128.
- ↑ Gibson, p. 127.
- ↑ Gibson, pp. 128–29.
- ↑ Wynne-Thomas, p. 84.
- ↑ Edwards 2001, পৃ. 136।
- ↑ Streeton, pp. 92–94.
- ↑ "Percy Fender (Cricinfo profile)"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১২।
- ↑ Hilton, p. xii.
- ↑ Hilton, pp. xi–xii.
- ↑ ক খ গ Frith, p. 40.
- ↑ Hilton, p. 71.
- ↑ ক খ Streeton, p. 155.
- ↑ Gibson, pp. 97–98.
- ↑ Frith, pp. 38–39.
- ↑ Streeton, p. 152.
- ↑ ক খ গ Streeton, pp. 153–55.
- ↑ Streeton, p. 156.
- ↑ Douglas, p. 97.
- ↑ ক খ গ "Percy Fender (Obituary)"। Wisden Cricketers' Almanack। London: John Wisden & Co। ১৯৮৬। আইএসবিএন 978-0-947766-04-7। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১২।
- ↑ Streeton, p. 28.
- ↑ ক খ Arlott, John (১৭ জুন ১৯৮৫)। "A sharply original force for change"। The Guardian। London। পৃষ্ঠা 21।
- ↑ Streeton, p. 20.
- ↑ Keating, Frank (১৭ জুন ১৯৮৫)। "Fender the fastest dies"। The Guardian। London। পৃষ্ঠা 1।
- ↑ Streeton, p. 130.
- ↑ Streeton, pp. 176–77.
- ↑ ক খ Streeton, p. 117.
- ↑ ক খ Streeton, p. 179.
- ↑ ক খ গ Streeton, pp. 141–42.
- ↑ "Mr Percy Fender: Outstanding county cricket captain"। The Times। London। ১৭ জুন ১৯৮৫। পৃষ্ঠা 14। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১২।
- ↑ Douglas, p. 72.
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- টম হেওয়ার্ড
- সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব
- ইংরেজ টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
- আনুষ্ঠানিক কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ বিজয়ী দলের তালিকা
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বলেই উইকেটলাভকারী বোলারদের তালিকা
- টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে ৫ উইকেট লাভকারী দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারদের তালিকা
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- Douglas, Christopher (২০০২)। Douglas Jardine: Spartan Cricketer। London: Methuen। আইএসবিএন 0-413-77216-0।
- Frith, David (২০০২)। Bodyline Autopsy. The full story of the most sensational Test cricket series: Australia v England 1932–33। London: Aurum Press। আইএসবিএন 1-85410-896-4।
- Gibson, Alan (১৯৭৯)। The Cricket Captains of England। London: Cassell। আইএসবিএন 0-304-29779-8।
- Hilton, Christopher (২০০৯)। Bradman and the Summer that Changed Cricket: The 1930 Australian Tour of England। London: JR Books। আইএসবিএন 978-1-906779-02-3।
- Marshall, Michael (১৯৮৭)। Gentlemen and Players: Conversations with Cricketers। London: Grafton Books। আইএসবিএন 0-246-11874-1।
- McKinstry, Leo (২০১১)। Jack Hobbs: England's Greatest Cricketer। London: Yellow Jersey Press। আইএসবিএন 978-0-224-08329-4।
- Streeton, Richard (১৯৮১)। P. G. H. Fender: A Biography। London: Faber & Faber। আইএসবিএন 0-571-11635-3।
- Wynne-Thomas, Peter (১৯৮৯)। The Complete History of Cricket Tours at Home and Abroad। London: Guild Publishing। ওসিএলসি 440099345।
গ্রন্থপঞ্জী
[সম্পাদনা]- Defending the Ashes (The tour of the M.C.C. team in Australia, 1920–21)। London: Chapman and Hall। ১৯২১। ওসিএলসি 559986543।
- The Turn of the Wheel: M.C.C. team, Australia, 1928–1929। London: Faber and Faber। ১৯২৯। ওসিএলসি 752829492।
- The tests of 1930: the 17th Australian team in England। London: Faber and Faber। ১৯৩০। ওসিএলসি 155909714।
- Kissing the rod: the story of the Tests of 1934। London: Chapman and Hall। ১৯৩৪। ওসিএলসি 35365291।
- An ABC of cricket। London: Arthur Barker। ১৯৩৭। ওসিএলসি 9599314।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে পার্সি ফেন্ডার (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে পার্সি ফেন্ডার (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
পূর্বসূরী জ্যাক ম্যাকব্রায়ান |
সর্ববয়োঃজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটার ১৪ জুলাই, ১৯৮৩ – ১৫ জুন, ১৯৮৫ |
উত্তরসূরী স্টর্ক হেন্ড্রি |
- ১৮৯২-এ জন্ম
- ১৯৮৫-এ মৃত্যু
- ১৯১৯ থেকে ১৯৪৫ সময়কালীন ইংরেজ ক্রিকেটার
- ইংরেজ ক্রিকেটার
- ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটার
- উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার
- এল. জি. রবিনসন একাদশের ক্রিকেটার
- এল. এইচ. টেনিসন একাদশের ক্রিকেটার
- এইচ. ডি. জি. লেভেসন গাওয়ার একাদশের ক্রিকেটার
- জেন্টলম্যানের ক্রিকেটার
- জেন্টলম্যান অব দ্য সাউথের ক্রিকেটার
- নর্থ ভার্সাস সাউথের ক্রিকেটার
- মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার
- রয়্যাল এয়ার ফোর্সের ক্রিকেটার
- লন্ডন কাউন্টি কাউন্সিলের সদস্য
- সারের ক্রিকেটার
- সারে ক্রিকেট অধিনায়ক
- সাসেক্সের ক্রিকেটার
- সি. আই. থর্নটন একাদশের ক্রিকেটার
- পি. এফ. ওয়ার্নার একাদশের ক্রিকেটার
- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা
- রয়্যাল ফ্লাইং কোরের কর্মকর্তা
- বৃহত্তর লন্ডন থেকে আগত ক্রিকেটার