নিজামপত্তনম
নিজামপত্তনম পেটাপোলি, পেদ্দাপল্লি | |
---|---|
গ্রাম | |
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১৫°৫৪′ উত্তর ৮০°৪০′ পূর্ব / ১৫.৯০০° উত্তর ৮০.৬৬৭° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | অন্ধ্রপ্রদেশ |
জেলা | গুন্টুর |
মন্ডল | নিজামপত্তনম |
সরকার[১] | |
• ধরন | পঞ্চায়েতি রাজ |
• শাসক | নিজামপত্তনম গ্রাম পঞ্চায়েত |
আয়তন[২] | |
• মোট | ২,২৭৬ হেক্টর (৫,৬২৪ একর) |
জনসংখ্যা (২০১১)[৩] | |
• মোট | ২০,৯৮২ |
• জনঘনত্ব | ৯২০/বর্গকিমি (২,৪০০/বর্গমাইল) |
ভাষাসমূহ | |
• সরকারি | তেলুগু |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন | ৫২২৬১৫ |
এলাকা কোড | +৯১–৮৬৪৭ |
যানবাহন নিবন্ধন | এপি |
নিজামপত্তনম হল ভারতের রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলার একটি গ্রাম। এটি তেনালি রাজস্ব বিভাগের নিজপত্তনম মণ্ডলের মণ্ডল সদর দফতর।[২] ১৬০৬−১৬৬৮ সাল পর্যন্ত এটি ডাচদের দখলে ছিল। তারা ব্যবসায়ের জন্য এই গ্রামটি দখল করেছিল।
ব্যুৎপত্তি
[সম্পাদনা]স্থানীয়ভাবে পেড্ডাপল্লি নামে পরিচিত,[৪] ডাচ বসবাসকারীরা এটিকে 'পেটাপোলি' হিসাবেও অভিহিত করত[৫] এবং ব্রিটিশরা এই জায়গাকে পেট্টিপোলি বা পেটিপলি বলে ডাকত।[৬]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১২-১৩শ শতাব্দীতে (খ্রিস্টাব্দ) এটির শাসক ছিল ভেলানাতি চোডাস। পরে এটি গোলকুন্ডা রাজ্যের অধীনে চলে যায়।[৭] ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৬২১ সালে এখানে একটি কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছিল, ১৬৮৭ সালে, যখন ফোর্ট সেন্ট জর্জ এর অধীনস্থ সমস্ত ফ্যাক্টরিগুলি প্রত্যাহার করা হয়, তখন এই কারখানাটিও বন্ধ হয়ে যায়।[৬]
জনসংখ্যার উপাত্ত
[সম্পাদনা]ভারতের জনপরিসংখ্যান ২০১১-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], নিজপত্তনমের জনসংখ্যা হল ২০,৯৮২। মোট জনসংখ্যা ১০,৬২৩ জন পুরুষ এবং ১০,৩৫৯ জন মহিলা —অর্থাৎ যৌন অনুপাত এক হাজার পুরুষ প্রতি ৯৭৫ জন মহিলা। ২,১০৫ জন শিশু ০-৬ বছর বয়সীদের মধ্যে পড়েছে, যার মধ্যে ১,০৭৩ বালক এবং ১,০৩২ বালিকা, অর্থাৎ এদের অনুপাত ১০০০ বালক প্রতি ৯৬২ বালিকা। এখানে গড় সাক্ষরতার হার ৬৮.৭৮%, অর্থাৎ ১২,৯৮৪ জন সাক্ষরতা, রাজ্যের গড় ৬৭.৪১% এর তুলনায় কিছুটা বেশি।[৩][৮]
প্রশাসন
[সম্পাদনা]নিজামপত্তনম গ্রাম পঞ্চায়েত হল গ্রামের স্থানীয় স্বয়ংশাসিত সরকার।[১] এটি কয়েকটি ওয়ার্ডে বিভক্ত এবং প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রতিনিধিত্ব করে একজন ওয়ার্ড সদস্য।[৯]
নিজামপত্তনম গ্রামটি বাপতলা লোকসভা নির্বাচনী কেন্দ্র এবং রেপাল্লী বিধানসভা নির্বাচনী কেন্দ্রের এলাকা। তেলুগু দেশম পার্টির আনাগনি সত্য প্রসাদ হলেন রেপাল্লী বিধানসভা কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক এবং বাপতলা লোকসভা কেন্দ্রের বর্তমান সংসদ সদস্য হলেন মলয়দ্রি শ্রীরাম।[১০][১১]
শিক্ষাব্যবস্থা
[সম্পাদনা]২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের বিদ্যালয় তথ্য প্রতিবেদন অনুসারে, গ্রামে মোট ৩১টি বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে একটি সরকারী বিদ্যালয় আছে। অন্য দুটি ধরনের মধ্যে, ২২টি জেলা পরিষদ/মণ্ডল পরিষদ পরিচালিত এবং ছয়টি বেসরকারী বিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[১২]
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]এখানকার জনগণের প্রধান পেশা কৃষি, যার মধ্যে রয়েছে ধানের চাষ।[১৩] মাছধরাও এখানকার একটি প্রধান পেশা, কারণ জায়গাটি সমুদ্র উপকূলের কাছে অবিস্থিত এবং মৎস্য বন্দরও (এমন একটি জায়গা যেখানে মাছ ধরার নৌকা বাঁধা থাকে) কাছেই আছে। পর্যটনও গ্রামের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ম্যানগ্রোভ অরণ্য এবং নিজামপত্তম ব্যাকওয়াটার এখানে বিশেষভাবে দর্শনীয়।[৭]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Gram Panchayat Identification Codes" (পিডিএফ)। Saakshar Bharat Mission। National Informatics Centre। পৃষ্ঠা 111। ১৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৯।
- ↑ ক খ "District Census Hand Book – Guntur" (PDF)। Census of India। Registrar General and Census Commissioner of India। পৃষ্ঠা 14,504। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৯।
- ↑ ক খ "Population"। Census of India। Registrar General and Census Commissioner of India। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৯।
- ↑ William Foster (১৯০৬)। The English Factories in India 1618–1669, Volume 1 (Volume 1 সংস্করণ)। Clarendon Press। পৃষ্ঠা 41। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৭।
- ↑ Myneni, Krishna Kumari, (২০০২)। Sermons from stones : contribution of Andhras to art, culture, and thought (1. publ. সংস্করণ)। Delhi, India: Bharatiya Kala Prakashan। পৃষ্ঠা 84। আইএসবিএন 8186050892। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ Bowrey, Thomas (১৮৯৫)। Temple, Richard Carnac, সম্পাদক। A Geographical Account of Countries Round the Bay of Bengal, 1669 to 1679। পৃষ্ঠা 25–26।
- ↑ ক খ Samuel Jonathan, P (৮ অক্টোবর ২০১৫)। "Nizampatnam backwaters beckon adventure geeks"। The Hindu। Guntur। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Literacy of AP (Census 2011)" (পিডিএফ)। Official Portal of Andhra Pradesh Government। পৃষ্ঠা 43। ১৪ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ Seetharam, Mukkavilli (১৯৯০-০১-০১)। Citizen Participation in Rural Development (ইংরেজি ভাষায়)। Mittal Publications। পৃষ্ঠা 34। আইএসবিএন 9788170992271।
- ↑ "MLA's"। AP State Portal। ২৫ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "LokSabha"। AP State Portal। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "School Information"। Commissionerate of School Education। Government of Andhra Pradesh। ১৬ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৯।
- ↑ "Helen causes extensive damage to crops"। The New Indian Express। Vijayawada। ২৫ নভেম্বর ২০১৩। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।