ধামরাই উপজেলা
ধামরাই | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে ধামরাই উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৬′২৪.০০০″ উত্তর ৯০°৯′০.০০০″ পূর্ব / ২৩.৯৪০০০০০০° উত্তর ৯০.১৫০০০০০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | ঢাকা জেলা |
প্রতিষ্ঠা | ১৫ ই ডিসেম্বর ১৯৮২ |
ঢাকা ২০ | ১৯২ |
সরকার | |
• প্রশাসক | মামনুন আহমেদ অনীক (ইউএনও) |
আয়তন | |
• মোট | ৩০৩.৪০ বর্গকিমি (১১৭.১৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৪,১২,৪১৮ |
• জনঘনত্ব | ১,৪০০/বর্গকিমি (৩,৫০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৭০.০৮০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ১৩৫০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ২৬ ১৪ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ধামরাই উপজেলা বাংলাদেশের ঢাকা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। আয়তনে ধামরাই ঢাকা জেলার সবথেকে বড় উপজেলা। ধামরাইয়ের রয়েছে একটি গৌরোবজ্জ্বল ইতিহাস, মুঘল আমলে মসলিন ও কাঁসা শিল্পের জন্য ধামরাই বিখ্যাত ছিল। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পূর্ব পাকিস্তানের শেষ মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের জন্ম ধামরাই উপজেলার বালিয়া গ্রামে।
নামকরণ
[সম্পাদনা]ইতিহাসের প্রাচীন ও সমৃদ্ধশালী এলাকা ধামরাই। বিদ্যা, বুদ্ধি, টাকা এই তিনে ঢাকা। আজকের এই ধামরাই কোন একদিন আয়তনে ও অবস্থানে এমন ছিলোনা। কালের বিবর্তনে একটি সুন্দর সমৃদ্ধ গ্রাম শহরের আদল পেয়েছে। তখনও আর্যগণ এদেশে আসেনি। এ জনপদটি ছিল সমতল ও উর্বর। মাটির এই টানে দ্রাবিড়গণ এখানে আসে এবং বসতি স্থাপন করে। গড়ে তাদের সভ্যতা, বৌদ্ধ যুগে এই সভ্যতার আরও অগ্রগতি হয়। কলিঙ্গ যুদ্ধের পর সম্রাট অশোক ছুড়ে ফেলেন তার রক্ত বসন। পরলেন পীতবাস, শরণ নিলেন বুদ্ধের, দীক্ষিত হলেন অহিংস ধর্মে। অতঃপর তিনি বুদ্ধ ধর্ম প্রচারের জন্য বেছে নিলেন ৮৪ হাজার গ্রাম। এই প্রচার কেন্দ্রগুলোকে বলা হত ধর্ম রাজিকা/ধর্ম রাজিয়া। ধামরাই ছিল তন্মধ্যে অন্যতম প্রধান ধর্ম রাজিয়া বা প্রচারকেন্দ্র। ধর্ম রাজিয়া শব্দের অর্থ ধর্মরথ। এই ধর্ম রাজিয়া হতে ধর্মরাজি বা ধর্মপুর এবং এ থেকেই ধামরাই নামের উৎপত্তি।
অবস্থান ও আয়তন
[সম্পাদনা]রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে উত্তর-পশ্চিম দিকে ধামরাই উপজেলার অবস্থান। এর উত্তরে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলা ও গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলা, দক্ষিণে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলা ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা, পূর্বে সাভার উপজেলা, পশ্চিমে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলা ও টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলা।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ধামরাই উপজেলার ইতিহাস অনেক পুরোনো। ধামরাই থানা ১৯১৪ সালে গঠিত হয় এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৫ সালে।
প্রশাসনিক এলাকা
[সম্পাদনা]ধামরাই উপজেলা ১টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত;
- পৌরসভা - ধামরাই।
- ইউনিয়ন - আমতা, কুশুরা, গাংগুটিয়া, সূতিপাড়া, ভাড়ারিয়া, ধামরাই, বালিয়া, নান্নার, কুল্লা, যাদবপুর, সূয়াপুর, সানোড়া, চৌহাট, বাইশাকান্দা, সোমভাগ এবং রোয়াইল।
উপজেলা সদর ধামরাই পৌরসভায় অবস্থিত। ধামরাই পৌর কার্যালয় পৌর এলাকার উত্তরপাতায় অবস্থিত,ধামরাই পৌরসভার বর্তমান মেয়র গোলাম কবির মোল্লা। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় রয়েছে।
আয়তন | ৩০৬.৩৩ বর্গ কিলোমিটার |
জনসংখ্যা | ৪,১২,৪১৮ জন |
পৌরসভা | ০১ টি |
ইউনিয়ন | ১৬ টি |
মৌজা | ৩০৫ টি |
গ্রাম | ৪০৮ টি |
শিক্ষা
[সম্পাদনা]উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- আবুল বাশার কৃষি কলেজ
- কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়
- যাদবপুর ভূবন মোহন স্কুল ও কলেজ
- আব্দুস সোবহান মডেল হাই স্কুল
- আফাজ উদ্দিন কলেজে
- আফাজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়
- আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
- ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ
- ধামরাই সরকারি কলেজ
- ভালুম আতাউর রহমান খান ডিগ্রী কলেজ
- ধামরাই সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, রাজাপুর, ধামরাই।
- জালসা উচ্চ বিদ্যালয়।
- সূয়াপুর নান্নার স্কুল এন্ড কলেজ
- বেরশ শিবনাথ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
- ওদুদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়।
- আমতা হরলাল উচ্চ বিদ্যালয়।
- ভালুম আতাউর রহমান খান উচ্চ বিদ্যালয়
- রোয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
[সম্পাদনা]- আতাউর রহমান খান: প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী
- আজিজুর রহমান মল্লিক: সাবেক অর্থমন্ত্রী
- চ্যালেঞ্জার: অভিনয় শিল্পী।
- নূরুল আলম: শিক্ষাবিদ।
- জিয়াউর রহমান খান: রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী।
- আখতার হোসেন ভূইয়া: বাংলাদেশী আমলা
- মনিরা মিঠু: অভিনয় শিল্পী
- বেনজীর আহমদ: রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী
- এম এ মালেক: রাজনীতিবিদ
- বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জামালউদ্দীন সাহেব
- জনাব মোঃ ওমর ফারুক: বাংলাদেশী আমলা
- সোহেল খান: অভিনয় শিল্পী
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- শৈলান জামে মসজিদ
- আলাদিনস্ পার্ক
- মোহাম্মদি গার্ডেন
- মহাশক্তি প্রেরণ কেন্দ্র
- যশোমাধব মন্দির।
- সাইট্টা বট গাছ
- কালামপুর বড় পুকুর
- ধামরাই রথ
- গাংগুটিয়া জমিদার বাড়ি
- রোয়াইল জমিদার বাড়ি
- বেলিশ্বর জমিদার বাড়ি
- বালিয়া জমিদার বাড়ি
- ধামরাই বণিক বাড়ি
- রূপনগর
- ধামরাই উপজেলা কমপ্লেক্স
নদ-নদী
[সম্পাদনা]এসব নদীগুলো ধামরাই’র সাথে ঢাকা, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, সিলেট ইত্যাদি অঞ্চলের সাথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে ধামরাই"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৩০ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |