দ্যৌষ
হিন্দুধর্ম |
---|
ধারাবাহিকের অংশ |
দ্যৌষ | |
---|---|
আকাশ দেবতা | |
অন্যান্য নাম | আকাশ |
অন্তর্ভুক্তি | দেব, পঞ্চভূত |
আবাস | দ্যুলোক, আকাশ |
গ্রন্থসমূহ | ঋগ্বেদ |
সঙ্গী | পৃথ্বী |
সন্তানসন্ততি | সূর্য, ঊষা, এবং অন্যান্য বৈদিক দেবতা |
গ্রিক সমকক্ষ | জিউস |
রোমান সমকক্ষ | জুপিটার |
দ্যৌষ (সংস্কৃত: द्यौष, আইএএসটি: Dyáuṣ) বা দ্যৌষপিতৃ (সংস্কৃত: द्यौष्पितृ, আইএএসটি: Dyáuṣpitṛ́) হলেন একজন বৈদিক এবং তিনি আকাশের দেবতা। তার সহধর্মিণী হলেন পৃথ্বী, এবং ঋগ্বেদ অনুসারে তারা একত্রে আদি পিতামাতা।[১]
সাহিত্য
[সম্পাদনা]হিন্দুধর্মের প্রাচীন বৈদিক শাস্ত্রে দেবী পৃথ্বীর সাথে স্তোত্রে দ্যৌষপিতৃ আবির্ভূত হয়।[২]
ঋগ্বেদে, দ্যৌষপিতৃ ১.৮৯.৪, ১.৯০.৭, ১.১৬৪.৩৩, ১.১৯১.৬, ৪.১.১০ এবং ৪.১৭.৪ শ্লোকে উপস্থিত হয়েছে।[৩] তাকে বিভিন্ন প্রতিশব্দের অধীনেও উল্লেখ করা হয়েছে: দ্যাবপৃথ্বী, উদাহরণস্বরূপ, দ্বন্দব যৌগ যা স্বর্গ ও পৃথিবীকে দ্যৌষ ও পৃথ্বী হিসাবে যুক্ত করে।
দ্যৌষের সবচেয়ে সংজ্ঞায়িত বৈশিষ্ট্য হল তার পৈতৃক ভূমিকা।[৪] তার কন্যা, ঊষা, ভোরকে মূর্ত করে।[৫] দেবতাদের, বিশেষ করে সূর্যকে দ্যৌষ ও পৃথ্বীর সন্তান বলে উল্লেখ করা হয়েছে।[৬] দ্যৌষের অন্যান্য পুত্রের মধ্যে রয়েছে অগ্নি, পর্জন্য, আদিত্যগণ, মরুদ্গণ ও অঙ্গিরাস।[৪][৬] অশ্বিনীদের "দিবো নাপাত" বলা হয়, যার অর্থ দ্যৌষের বংশ/সন্তান/নাতি।[৪][৭] দ্যৌষকে প্রায়শই গর্জনকারী প্রাণী হিসাবে কল্পনা করা হয়, প্রায়শই একটি ষাঁড়, যে পৃথিবীকে উর্বর করে।[৪]
দ্যৌষকে রাতের আকাশের সাথে উপমায় মুক্তো দিয়ে জড়ানো কালো ঘোড়দৌড়ের মতোও বলা হয়েছে।[৪][৮]
ঋগ্বেদে ইন্দ্রের দ্যৌষ ও পৃথ্বীর বিচ্ছেদ গুরুত্বপূর্ণ সৃষ্টি পৌরাণিক কাহিনী হিসেবে পালিত হয়েছে।[৬]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Shri, Satya (২৩ জানুয়ারি ২০১৭)। Demystifying Brahminism and Re-Inventing Hinduism: Volume 1 - Demystifying Brahminism (ইংরেজি ভাষায়)। Notion Press। আইএসবিএন 978-1-946515-54-4।
- ↑ Leeming, David; Fee, Christopher (২০১৬)। The Goddess: Myths of the Great Mother (ইংরেজি ভাষায়)। Reaktion Books। আইএসবিএন 978-1-78023-538-7।
- ↑ Sanskrit: Ṛg·veda, Wikisource; translation: Ralph T. H. Griffith Rigveda, Wikisource
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Macdonell, Arthur Anthony (১৮৯৭)। Vedic Mythology। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 21–22।
- ↑ Dalal, Roshen (২০১৪)। Hinduism: An Alphabetical Guide। Penguin Books। আইএসবিএন 9788184752779। Entry: "Dyaus"
- ↑ ক খ গ Jamison, Stephanie; Brereton, Joel P. (২০১৪)। The Rigveda –– The Earliest Religious Poetry of India। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 50–51।
- ↑ West, M. L. (২০০৭)। Indo-European Poetry and Myth। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 187। আইএসবিএন 978-0-19-928-075-9।
- ↑ Jamison ও Brereton 2014, পৃ. 1492।