জ্যাক প্লিমসল
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জন ব্রুস প্লিমসল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কাক বে, কেপ প্রদেশ | ২৯ অক্টোবর ১৯১৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১১ নভেম্বর ১৯৯৯ কেপ টাউন, কেপ প্রদেশ | (বয়স ৮২)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, প্রশাসক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | জেবি প্লিমসল জুনিয়র (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ১৬৪) | ৫ জুলাই ১৯৪৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৭ মার্চ ২০২০ |
জন ব্রুস প্লিমসল (ইংরেজি: Jack Plimsoll; জন্ম: ২৭ অক্টোবর, ১৯১৭ - মৃত্যু: ১১ নভেম্বর, ১৯৯৯) কেপ প্রদেশের কাক বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৭ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটাল ও ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন জ্যাক প্লিমসল।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
[সম্পাদনা]শিক্ষা জীবনের শুরুরদিকে কেপ টাউনের সেন্ট জর্জেস গ্রামার স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। ১৯৩৫ সালে ম্যাট্রিকুলেশন ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৩৯-৪০ মৌসুম থেকে ১৯৪৯-৫০ মৌসুম পর্যন্ত জ্যাক প্লিমসলের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার খেলোয়াড়ী জীবন বিঘ্নিত হয়। সব মিলিয়ে ৩৯ খেলায় অংশ নিয়ে ২৩.১০ গড়ে ১৫৫ উইকেট পেয়েছেন।
বামহাতি উদ্বোধনী বোলার ছিলেন জ্যাক প্লিমসল। ১৯৩৯-৪৯ মৌসুম থেকে ১৯৪৭-৪৮ মৌসুম পর্যন্ত ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে খেলেন। এরপর ১৯৪৮-৪৯ মৌসুম থেকে ১৯৪৯-৫০ মৌসুম পর্যন্ত নাটাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট দলের বিপক্ষে সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। পুরো ইনিংসে একাধারে বোলিং করে ৭/৩৫ লাভ করেন। এরফলে প্রতিপক্ষের ইনিংস ৬৪ রানে গুটিয়ে যায়।[১] কিম্বার্লীতে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় ৮৮ রান খরচায় ১০ উইকেট লাভ করেছিলেন। এরফলে কারি কাপের শিরোপা জয় করে তার দল। ১১.৩৫ গড়ে ৩৮৬ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে কেপ টাউনে ইস্টার্ন প্রভিন্সের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ৫১ রান তুলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
[সম্পাদনা]সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জ্যাক প্লিমসল। ৫ জুলাই, ১৯৪৭ তারিখে ম্যানচেস্টারে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
১৯৪৭ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত একমাত্র টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে তিনি ৩/১৪৩ পান। এ সফরে ১৮ খেলায় অংশ নিয়ে ২৩.৩২ গড়ে ৬৮ উইকেট লাভ করেন। কম্বাইন্ড সার্ভিসেস, নর্দাম্পটনশায়ার ও সমারসেটের বিপক্ষে একাধারে তিন খেলায় অংশ নিয়ে ১১.৮৫ গড়ে ২৮ উইকেট দখল করেছিলেন। তন্মধ্যে, নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে একাধারে বোলিং করেন। ২৭.৩-৮-৪০-৬ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন তিনি।[২]
অবসর
[সম্পাদনা]ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন জ্যাক প্লিমসল। বুন ওয়ালেসের অধীনে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স ক্রিকেট ইউনিয়নের সহঃসভাপতি ছিলেন। এছাড়াও, মোব্রে গল্ফ ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ব্যবস্থাপক হিসেবে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ সফরে দলীয় অধিনায়ক পিটার ভ্যান ডার মারউই তার প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন যে, আমাদের এ সফর বেশ স্বার্থক হয়েছে। তার ভূমিকা গ্রহণের ফলে সফরে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার উদয় হয়নি। তিনি অসাধারণ ব্যবস্থাপক ছিলেন।[৩] ১৯৭০ সালের ইংল্যান্ড সফরের জন্যেও তাকে ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তবে, ঐ সফরটি বাতিল হয়ে যায়। পেশায় তিনি আবাসন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ছিলেন।[৪]
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও চার সন্তান রেখে যান। তন্মধ্যে জ্যেষ্ঠ পুত্র জন স্টেলেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় দলের প্রতিনিধিত্ব করে। ১১ নভেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে ৮২ বছর বয়সে কেপ টাউন এলাকায় জ্যাক প্লিমসলের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Griqualand West v Western Province
- ↑ Northamptonshire v South Africans
- ↑ Quoted in J. McGlew & T. Chesterfield, South Africa's Cricket Captains, Southern, Halfway House, 1995, p. 128.
- ↑ Eric Litchfield, Cricket Grand-Slam, Howard Timmins, Cape Town, 1970, p. 22.
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- ডেনিস বেগবি
- ডেনিস টমলিনসন
- বোল্যান্ড ক্রিকেট দল
- দক্ষিণ আফ্রিকান টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী পরিবারের তালিকা
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জ্যাক প্লিমসল (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জ্যাক প্লিমসল (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)