ওশেনিয়া ফুটবল কনফেডারেশন
সংক্ষেপে | OFC |
---|---|
গঠিত | ১৫ নভেম্বর, ১৯৬৬ |
ধরন | ক্রীড়া পরিচালনাকারী সংস্থা |
সদরদপ্তর | অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড |
সদস্যপদ | ১৪ সদস্য সংস্থা |
ডেভিড চাং | |
ওয়েবসাইট | www.oceaniafootball.com |
ফিফা কনফেডারেশন |
---|
এএফসি, ক্যাফ, কনকাকাফ |
কনমেবল, ওএফসি, উয়েফা |
ওশেনিয়া ফুটবল সংস্থা বা ওএফসি (ইংরেজি: Oceania Football Confederation) ওশেনিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের ফুটবল সংস্থাগুলোর প্রধান পরিচালনাকারী সংস্থার দায়িত্ব পালন করছে। এটি মহাদেশীয় পর্যায়ের প্রধান ছয়টি আন্তর্জাতিক সংস্থার একটি হিসেবে পরিগণিত। নিউজিল্যান্ডসহ পার্শ্ববর্তী টোঙ্গা, ফিজি এবং অন্যান্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের রাষ্ট্রসমূহ ওএফসির সদস্য। ওশেনিয়া অঞ্চলের ফুটবল খেলার মানোন্নয়ন, ফিফা বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ধারণী খেলাগুলো পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে থাকে এ সংস্থাটি।
বৈশ্বিক প্রধান ছয়টি কনফেডারেশনের একটি হলেও ওএফসি সবচেয়ে ছোট সংস্থা হিসেবে পরিচিত। ফুটবল খেলার তেমন জনপ্রিয়তা নেই ঐ সকল দ্বীপরাষ্ট্রগুলোই মূলতঃ এর সদস্য। বৈশ্বিক পর্যায়ের ফুটবলের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এ অঞ্চল থেকে দলগুলো তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি কিংবা উচ্চ পর্যায়ের ক্লাব দলগুলোতেও ফুটবলারদের তেমন অংশগ্রহণ নেই। ২০০৬ সালের সংস্থার বৃহৎ ও সর্বাপেক্ষা সফলতম দল অস্ট্রেলিয়া সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেয়। এরফলে নিউজিল্যান্ড সংস্থার বৃহৎ সদস্যরূপে আসীন হয়েছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৬৬ সালে ওএফসি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে ছিল -
- অস্ট্রেলিয়ান সকার ফেডারেশন যা ২০০৫ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া ফুটবল ফেডারেশন নামে পরিচিত হয়ে আসছে।
- নিউজিল্যান্ড সকার যা নিউজিল্যান্ড ফুটবল নামে পরিচিত।
- ফিজি ফুটবল সংস্থা।
১৯৯৬ সালে ফিফা কর্তৃপক্ষ ওএফসিকে পূর্ণাঙ্গ সংস্থারূপে স্বীকৃতি দেয় ও ফিফা নির্বাহী পরিষদের সদস্যপদ প্রদান করে। ১৯৯৮ সালে ওএফসি নতুন লোগো উন্মোচন করে। সংস্থার দি ওয়েভ নামে আনুষ্ঠানিকভাবে সাময়িকী প্রকাশ করা হয়। ২৪ মে, ২০০৪ তারিখে নিউ ক্যালেডোনিয়া ১১তম সদস্য হিসেবে ওএফসিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১ জানুয়ারি, ২০০৬ তারিখে অস্ট্রেলিয়া ওএফসি থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেয় ও এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনে স্থানান্তরিত হয়। ২০০৮ সালে সহযোগি সদস্য নর্দার্ন ম্যারিয়ানা আইল্যান্ডও সদস্যপদ প্রত্যাহার করে ও ২০০৯ সালে এএফসিতে কোয়াসি-মেম্বার হিসেবে যোগ দেয়। ২০০৯ সালের শেষার্ধ্বে পালাউও একই মর্যাদা নিয়ে এএফসিতে আবেদন করেছিল।[১]
সদস্য
[সম্পাদনা]২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়া ওএসফি'র সদস্য পদ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়। পরবর্তীতে দলটি এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত হয়। ওএফসিতে বর্তমানে ১১টি পূর্ণাঙ্গ সদস্য ও ৩টি সহযোগী ফুটবল সংস্থা সদস্য হিসেবে রয়েছে।[২]
|
|
১ = ওএফসি'র সহযোগী সদস্য; কিন্তু, ফিফা সদস্য নয়।
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং
[সম্পাদনা]
|
|
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "Member Associations"। Oceania Football। Oceania Football Confederation। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র্যাঙ্কিং"। ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩।
- ↑ "ফিফা/কোকা-কোলা মহিলা বিশ্ব র্যাঙ্কিং"। ফিফা। ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Oceania Football Confederation Official Site
- Oceania Football Confederation, Soccerlens.com. Retrieved: 09/10/2010.