Nothing Special   »   [go: up one dir, main page]

বিষয়বস্তুতে চলুন

এরিক ডাল্টন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এরিক ডাল্টন
১৯৩৫ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে এরিক ডাল্টন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
এরিক লন্ডেসব্রো ডাল্টন
জন্ম(১৯০৬-১২-০২)২ ডিসেম্বর ১৯০৬
ডারবান, নাটাল, দক্ষিণ আফ্রিকা
মৃত্যু৩ জুন ১৯৮১(1981-06-03) (বয়স ৭৪)
ডারবান, নাটাল, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১২৯)
২৯ জুন ১৯২৯ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৩ মার্চ ১৯৩৯ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৫ ১২১
রানের সংখ্যা ৬৯৮ ৫৩৩৩
ব্যাটিং গড় ৩১.৭২ ৩৩.১২
১০০/৫০ ২/৩ ১৩/২৪
সর্বোচ্চ রান ১১৭ ১৫৭
বল করেছে ৮৬৪ ৭৬৬২
উইকেট ১২ ১৩৯
বোলিং গড় ৪০.৮৩ ২৫.৮১
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/৫৯ ৬/৪২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫/- ৭২/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২০ জুলাই ২০১৯

এরিক লন্ডেসব্রো ডাল্টন (ইংরেজি: Eric Dalton; জন্ম: ২ ডিসেম্বর, ১৯০৬ - মৃত্যু: ৩ জুন, ১৯৮১) নাটাল প্রদেশের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২৯ থেকে ১৯৩৯ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, দলের প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে কার্যকরী বোলিংশৈলী প্রদর্শন করতেন এরিক ডাল্টন

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯২৪-২৫ মৌসুম থেকে ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম পর্যন্ত এরিক ডাল্টনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৫ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন এরিক ডাল্টন। ২৯ জুন, ১৯২৯ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংরেজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ৩ মার্চ, ১৯৩৯ তারিখে ডারবানে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন।

২২ বছর বয়সে ১৯২৯ সালে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ সফরে নয়টিমাত্র প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান তিনি। ফলে, খুব কমই সফলতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। তবে, গ্রীষ্মের শেষদিকে খেলার প্রতিটি স্তরে ভালো খেলেন, আক্রমণাত্মক ও মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্রুত উন্নয়ন ঘটান। আগস্টের শেষদিকে ক্যান্টারবারিতে কেন্টের বিপক্ষে ১৫৭ ও অপরাজিত ১১৬ রান তোলার পর হোভে সাসেক্সের বিপক্ষে ১০২ ও অপরাজিত ৪৪ এবং পশ্চিম ব্রিজফোর্ডে স্যার জুলিয়েন কান একাদশের বিপক্ষে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

অস্ট্রেলিয়া গমন, ১৯৩১-৩২

[সম্পাদনা]

দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে সেরা ক্রিকেটার হিসেবে তুলে ধরতে তৎপর হন। ১৯৩১-৩২ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ব্যাট হাতে নিয়ে ৩২.৪১ গড়ে রান তুলেন। লঞ্চেস্টনে প্রস্তুতিমূলক খেলায় তাসমানিয়ার বিপক্ষে ১০০ করেন। লরি ন্যাশের ব্রাউন্সারে তার চোয়াল ভেঙ্গে যায়। এ সময়ে ন্যাশ হ্যাট্রিক লাভ করেছিলেন।[] কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে পেয়ার লাভ করেন। সিডনিতে হার্বি টেলরের সাথে বড় ধরনের জুটি গড়েন। এনএসডব্লিউর বিপক্ষে তিনি ৮৭ রান তুলেন। অস্ট্রেলিয়ায় দুই টেস্ট ও নিউজিল্যান্ডে দুই টেস্ট খেলেন।

ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসার আড়াই বছর পর ক্রাইস্টচার্চের প্রথমটিতে ৮২ রান করেন। এ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা দল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট জয় করে।

১৯৩৪-৩৫ মৌসুম শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম বিশ্বস্ত ব্যাটসম্যানের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। নিউজিল্যান্ড থেকে ফিরে আসার পর ৫৪.৭৬ গড়ে প্রথম-শ্রেণীর রান পেয়েছেন। বল হাতে নিয়ে লেগ ব্রেক বোলিংয়ে এ মৌসুমে ১৯.০৮ গড়ে ২৫ উইকেট পান।

ইংল্যান্ড গমন, ১৯৩৫

[সম্পাদনা]

১৯২৯ সালে ইংল্যান্ডে অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানকে বিকশিত করতে ১৯৩৫ সালে পুনরায় ইংল্যান্ড সফরের জন্যে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ সফর শেষে ৩৭.০৭ গড়ে ১,৪৪৬ রান তুলে ব্রুস মিচেলের পর টেস্ট গড়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। এ টেস্টে প্রকৃত টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেন। ওভাল টেস্টে নিজস্ব প্রথম টেস্ট শতরান করেন। ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪০ মিনিটে ১১৭ রান তুলেন। এ পর্যায়ে শুরুরদিকে ওয়াল্টার রবিন্সের লেগ-স্পিনে অস্বস্তিতে ভুগলেও নবম উইকেটে জুটিতে এ. বি. সি. ল্যাংটনের সাথে মাত্র ৭০ মিনিটে ১৩৭ রানের জুটি গড়েন। শেষ টেস্ট খেলার পূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের রেকর্ডরূপে পরিচিত ছিল।

এছাড়াও, লর্ডসে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে পরিবর্তিত বোলার হিসেবে বব ওয়াটওয়ালি হ্যামন্ডের উইকেট লাভ করে দক্ষিণ আফ্রিকার খ্যাতনামা জয়ে সবিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। এ জয়টি ইংল্যান্ডের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম জয় ছিল।

পরবর্তী কয়েক বছর দূর্বল ক্রীড়াশৈলীর ছাঁপ ছিল। ১৯৩৮-৩৯ মৌসুমে ডব্লিউ. আর. হ্যামন্ডের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দল দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করে। নিজস্ব ছন্দে ফিরে আসেন। জোহেন্সবার্গে সিরিজের প্রথম টেস্টে ১০২ রান তুলেন। এ সিরিজে ৪৪ গড়ে রান পেয়েছিলেন। ওল্ড ওয়ান্ডারার্স গ্রাউন্ডে এটিই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানের সর্বশেষ টেস্ট শতক ছিল। পিটারমারিৎজবার্গে নাটালের সদস্যরূপে ইংরেজদের বিপক্ষে ১১০ রান তুলেন। তিনবার হ্যামন্ডের উইকেট পান। প্রথম টেস্টে একবার এবং চূড়ান্ত ও সর্বশেষ ১০ দিনব্যাপী অসীম সময়ের টেস্টে স্ট্যাম্পিংয়ে দুইবার তার উইকেট পান।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর গল্ফের দিকে মনোনিবেশ ঘটান। ক্রিকেটের পাশাপাশি শৌখিন গল্ফার হিসেবেও তার সবিশেষ পরিচিতি রয়েছে। নাটালে অবস্থানকালে গল্ফের দিকে মনোনিবেশ ঘটিয়েছিলেন। এ খেলার সাথে অনেকগুলো বছর পার করে দেন।

তাসমানিয়ার বিপক্ষে শতরানের ইনিংস খেলার পর চোয়ালে আঘাত পান। ফলে, ক্রিকেট থেকে কয়েক সপ্তাহ দূরে অবস্থান করতে বাধ্য হন। বেশ কয়েকবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ী শৌখিন খেলোয়াড় ইভো হুইটন এ সময়ে তার পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও, চমৎকার বোলস খেলোয়াড় হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন। টেনিস ও টেবিল টেনিস খেলায়ও দক্ষতা দেখিয়েছেন। পিয়ানোবাদক ছিলেন তিনি।

১৯৫০ সালে সাউথ আফ্রিকান অ্যামেচার চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয় করেন। এরপর ১৯৫৪ সালে সেন্ট অ্যান্ড্রুজে অনুষ্ঠিত প্রথম কমনওয়েলথ টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব করেন।[]

উভয় যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের অন্যতম সেরা সর্বক্রীড়াবিদের সম্মাননা পেয়েছিলেন। ৩ জুন, ১৯৮১ তারিখে ৭৪ বছর বয়সে নাটালের ডারবানের ওয়েস্টরিজ এলাকায় এরিক ডাল্টনের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Eric Dalton"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১২ 
  2. "Tasmania v South Africans: South Africa in Australia and New Zealand 1931/32"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১২ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]