ইউরোপের ভূগোল
ইউরোপকে ঐতিহ্যগতভাবে একটি মহাদেশ হিসেবে গণ্য করা হলেও এটি মূলত ইউরেশিয়া ভূ-খণ্ডের উত্তর-পশ্চিম উপদ্বীপীয় অংশ।[১] ইউরেশিয়ার পূর্ব অংশটি এশিয়া মহাদেশ নামে পরিচিত। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে উরাল পর্বতমালা, কাস্পিয়ান সাগর, এবং ককেশাস পর্বতমালা ইউরোপকে এশিয়া থেকে পৃথক করেছে। দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর ইউরোপকে আফ্রিকা থেকে পৃথক করেছে।
আকৃতির দিক থেকে ইউরোপ অনেকগুলি পরস্পর সংযুক্ত উপদ্বীপের সমষ্টি। এদের মধ্যে বৃহত্তম দুইটি হল মূল ইউরোপীয় ভূখণ্ড এবং উত্তরের স্ক্যান্ডিনেভিয়া; বাল্টিক সাগর এদেরকে পৃথক করেছে। মূল ইউরোপীয় ভূখণ্ডের দক্ষিণ দিকে চারটি অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র উপদ্বীপ ভূমধ্যসাগরের অভ্যন্তরে প্রসারিত হয়েছ; এগুলি আইবেরীয় উপদ্বীপ, ইতালি উপদ্বীপ, আনাতোলিয়া, এবং বলকান উপদ্বীপ নামে পরিচিত। পূর্বদিকে ইউরোপ উত্তর-দক্ষিণ বরাবর বিস্তার লাভ করে উরাল পর্বতমালায় গিয়ে শেষ হয়েছে।
ইউরোপে স্বল্প আয়তনের এলাকাতেও ব্যাপক ভূবৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয়। দক্ষিণের অঞ্চলগুলি পর্বতময়। এখানে আল্পস, পিরেনেসএবং কার্পেথীয় পর্বতমালা অবস্থিত। এগুলি উত্তরে ধীরে ধীরে অণুচ্চ পাহাড় ও টিলায় রূপান্তরিত হয়ে শেষ পর্যন্ত প্রশস্ত উত্তর ইউরোপীয় সমভূমিতে পর্যবসিত হয়েছে। ইউরোপের উত্তর-পশ্চিমে বৃত্তাকারে কিছু পার্বত্য অঞ্চল দেখতে পাওয়া যায়। এগুলি ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের পশ্চিম অংশ থেকে শুরু হয়ে বৃত্তাকারে নরওয়ের ফিয়র্ড-কর্তিত পর্বতশ্রেণীতে গিয়ে শেষ হয়েছে।
আইসল্যান্ড দ্বীপটি উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে একটি সম্পূর্ণ আলাদা ভৌগোলিক প্রক্রিয়াতে উৎপন্ন হলেও এটিকে ঐতিহাসিকভাবে ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Europe | History, Countries, Map, & Facts | Britannica"। www.britannica.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০২-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-০৯।