আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৫ উইকেট লাভকারী ক্রিকেটারদের তালিকা
যখন একজন বোলার কোন একটি ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক ব্যাটসম্যানকে আউট করতে সক্ষম হন, তখন ক্রিকেটের পরিভাষায় তা পাঁচ-উইকেট অর্জন নামে পরিচিত পায়। পাঁচ-উইকেট অর্জনকে ফাইভ-ফর বা ফিফার নামেও ডাকা হয়ে থাকে।[২][৩] ক্রিকেট খেলায় এটি একটি অন্যতম সম্পর্কযুক্ত বিষয় কিন্তু অসাধারণ অর্জন হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।[৪]
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় কেবলমাত্র ১০বার বোলার কর্তৃক ‘ফিফার’ অর্জিত হয়েছে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃক পরিচালিত একদিনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা।[৫][৬] ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর সর্বাপেক্ষা দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতারূপে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।[৭][৮] প্রকৃতপক্ষে ১৯৯৮ সালে ‘আইসিসি নক আউট ট্রফি’ নামে পরিচিত ছিল। এ প্রতিযোগিতাটি প্রতি দুই বা তিন বছর অন্তর আয়োজিত হয়ে আসছে।[৬][৯]
২০১৩ সালের প্রতিযোগিতার পর ৭টি পৃথক দেশের ১০জন খেলোয়াড় ফিফার লাভের অধিকারী।[১০] উদ্বোধনী আসরের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।[১] ৩০ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট লাভের সুন্দর বোলিং পরিসংখ্যানের ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রতিযোগিতার শিরোপা লাভে সক্ষম হয়েছিল।[১১] ২০০২ সালে উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক কর্তৃক সর্বকালের শীর্ষ ১০০ বোলিং পরিসংখ্যানগত তালিকায় তার এ অবদানকে অন্তর্ভুক্ত করে।[১২] সর্বশেষ ২০১৩ সালের প্রতিযোগিতা পর্যন্ত সর্বাধিক তিনজন দক্ষিণ আফ্রিকান পাঁচ-উইকেট পেয়েছেন। এরপরই রয়েছে নিউজিল্যান্ডীয়রা। তারা দুইবার এ কৃতিত্বের অধিকারী। অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কান বোলাররা একবার করে পেয়েছেন। তবে, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের কোন বোলারই এ সম্মাননায় অভিষিক্ত হতে পারেননি। ২০০৬ সালের আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ফারভিজ মাহারুফ সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন।[১৩][১৪] ভারতীয় ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজা সর্বশেষ এ অর্জনের দাবীদার। ২০১৩ সালে তিনি ৫/৩৬ লাভ করেন।[১]
নির্দেশনাসমূহ
[সম্পাদনা]
|
পাঁচ-উইকেট অর্জনের তালিকা
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "Records / ICC Champions Trophy (ICC KnockOut) / List of five-wickets-in-an-innings"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ Buckle, Greg (এপ্রিল ৩০, ২০০৭)। "Pigeon's almost perfect sendoff"। Canberra Times। ১৫ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৩০, ২০০৯।
McGrath didn't get the five-for that he had hoped for...
- ↑ "Swinging it for the Auld Enemy – An interview with Ryan Sidebottom"। The Scotsman। আগস্ট ১৭, ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৩০, ২০০৯।
... I'd rather take fifers (five wickets) for England ...
- ↑ Pervez, M. A. (২০০১)। A Dictionary of Cricket। Orient Blackswan। পৃষ্ঠা 31। আইএসবিএন 978-81-7370-184-9।
- ↑ Dobell, George (২২ জুন ২০১৩)। "Odds shorten on Champions Trophy repeat"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ "Overview"। International Cricket Council। ১২ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "India Beat England by Five Runs to Win ICC Champions Trophy 2013 at Birmingham"। Jagran Josh। ২৪ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৪।
- ↑ Engineer, Tariq (১৭ এপ্রিল ২০১২)। "No Champions Trophy after 2013"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ Stern ও Williams 2014, পৃ. 574।
- ↑ "Records / ICC Champions Trophy (ICC KnockOut) / Most five-wickets-in-an-innings"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ ক খ "Final: South Africa v West Indies at Dhaka, Nov 1, 1998 – Cricket Scorecard – ESPN Cricinfo"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Top 100 Bowling Analysis of all time"। Rediff.com। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "Records / One-Day Internationals / Bowling records / Best figures in an innings"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Records / ICC Champions Trophy (ICC KnockOut) / Best bowling figures in an innings"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "1st SF: New Zealand v Pakistan at Nairobi (Gym), Oct 11, 2000 – Cricket Scorecard – ESPN Cricinfo"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "4th Match: Australia v New Zealand at Colombo (SSC), Sep 15, 2002 – Cricket Scorecard – ESPN Cricinfo"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "2nd Match: New Zealand v United States of America at The Oval, Sep 10, 2004 – Cricket Scorecard – ESPN Cricinfo"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "7th Match: Kenya v Pakistan at Birmingham, Sep 14–15, 2004 – Cricket Scorecard – ESPN Cricinfo"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "8th Match: Bangladesh v West Indies at Southampton, Sep 15, 2004 – Cricket Scorecard – ESPN Cricinfo"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "6th Qualifying Match: Sri Lanka v West Indies at Mumbai (BS), Oct 14, 2006 – Cricket Scorecard – ESPN Cricinfo"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "16th Match: Pakistan v South Africa at Mohali, Oct 27, 2006 – Cricket Scorecard – ESPN Cricinfo"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "3rd Match, Group B: South Africa v New Zealand at Centurion, Sep 24, 2009 – Cricket Scorecard – ESPN Cricinfo"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "6th Match, Group B: India v West Indies at The Oval, Jun 11, 2013 – Cricket Scorecard – ESPN Cricinfo"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
গ্রন্থপঞ্জী
[সম্পাদনা]- Pervez, M.A. (২০০১)। A Dictionary of Cricket। Universities Press। আইএসবিএন 978-81-7370-184-9।
- Stern, John; Williams, Marcus (২০১৪)। The Essential Wisden: An Anthology of 150 Years of Wisden Cricketers' Almanack। A & C Black। আইএসবিএন 978-1-4081-7896-6।