পরিমল গোস্বামী
পরিমল গোস্বামী (১ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭ - ২৭ জুন ১৯৭৬) রবীন্দ্রোত্তর যুগে যে সকল সাহিত্যিক বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন তাঁদের অন্যতম। বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, রসরচনা ও ব্যঙ্গাত্মক রচনার জন্য সমধিক পরিচিত ছিলেন। [১][২]
পরিমল গোস্বামী | |
---|---|
জন্ম | রতনদিয়া রাজবাড়ি, ফরিদপুর , ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে বাংলাদেশ ) | ১ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭
মৃত্যু | ২৭ জুন ১৯৭৬ কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত | (বয়স ৭৮)
ছদ্মনাম | এক-কলমী |
ভাষা | বাংলা |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
শিক্ষা | এম.এ |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
দাম্পত্যসঙ্গী | জ্যোৎস্না দেবী |
সন্তান | হিমানীশ গোস্বামী |
জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাপরিমল গোস্বামীর জন্ম ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ১লা সেপ্টেম্বর বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলা বর্তমানে রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার রতনদিয়ায়। সাহিত্যিক পিতা বিহারীলাল গোস্বামী (১৮৭২ - ১৯৩১) ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্নেহভাজন এবং পাবনার পোতাদিয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। পরিমল ছিলেন পিতামাতার জ্যেষ্ঠ সন্তান। বাল্যকালে তার পড়াশোনা শুরু পাবনা জেলারই পোতাদিয়া গ্রামে। এরপর তিনি শিক্ষা লাভ করেন শান্তিনিকেতন ও কলকাতায়।
কর্মজীবন ও সাহিত্যকর্ম
সম্পাদনাপরিমল গোস্বামীর এম.এ পাশের পর প্রবাসী ও শনিবারের চিঠি প্রভৃতি পত্রিকার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একসময় কিছুদিন 'শনিবারের চিঠি'র সম্পাদনা করেছেন। প্রবন্ধ, ব্যঙ্গাত্মক ও কৌতুকময় গল্প এবং রসরচনার জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন। অত্যন্ত পরিচিত ও সাধারণ ঘটনাকে বৈপরীত্য সহযোগে এমনভাবে উপস্থাপন করেন যে, সেটি এক সিরিয়াস গল্প হয়ে ওঠে। অনেকে তার এই দক্ষতার জন্য তাকে, এই বিষয়ের বিখ্যাত লেখক স্টিফেন লিককের স্বগোত্রীয় ভাবেন।[৩] বিভিন্ন সংস্থার প্রচার অধ্যক্ষ ও বেতার ভাষ্যকাররূপে তার সুনাম ছিল। ১৯৪৫ - ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদকীয় ও রবিবাসরীয় আসরে কাজ করেছেন। যুগান্তরে সরস ও রসাত্মক রচনা তিনি 'এক-কলমী' ছদ্মনামে লিখতেন। সাহিত্যকীর্তি ছাড়াও পরিমল গোস্বামী বৈঠকি গল্পে ও আলোচনা আসর জমিয়ে রাখতেন। ফটোগ্রাফিতেও তার সমান দক্ষতা ছিল।
রচিত গ্রন্থসমূহ
সম্পাদনাপরিমল গোস্বামী রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল -
- দুষ্মন্তের বিচার (১৯৪৩)
- ঘুঘু
- নামক নাটক (১৯৪৪)
- বুদ্বুদ (১৯৩৬)
- ট্রামের সেই লোকটি (১৯৪৪)
- ব্ল্যাক মার্কেট (১৯৪৫)
- মার্কা লেঙ্গে (১৯৫০)
- পুরুষের ভাগ্য
- স্মৃতি চিত্রণ
- দ্বিতীয় স্মৃতি
- পত্রস্মৃতি
- আমি যাদের দেখেছি
- যখন সম্পাদক ছিলাম
- পথে পথে
- ম্যাজিক লন্ঠন
- সপ্তপঞ্চ
- স্কুলের মেয়েরা
- মহামন্বন্তর ইত্যাদি
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৩৮৫, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ শিশিরকুমার দাশ (২০১৯)। সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী। সাহিত্য সংসদ, কলকাতা। পৃষ্ঠা ১২৩। আইএসবিএন 978-81-7955-007-9।
- ↑ "পরিমল গোস্বামীর শ্রেষ্ঠ ব্যঙ্গ-গল্প ..."। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-৩১।