জোই বেঞ্জামিন
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | যোসেফ ইমানুয়েল বেঞ্জামিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬১ ক্রাইস্ট চার্চ নিকোলা টাউন, সেন্ট কিটস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫৭০) | ১৮ আগস্ট ১৯৯৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১২৮) | ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৭ জানুয়ারি ১৯৯৫ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৮ - ১৯৯১ | ওয়ারউইকশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯২ - ১৯৯৯ | সারে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ |
যোসেফ ইমানুয়েল বেঞ্জামিন (ইংরেজি: Joey Benjamin; জন্ম: ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬১) সেন্ট কিটসের ক্রাইস্ট চার্চ নিকোলা টাউন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত কোচ ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে ও ওয়ারউইকশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন জোই বেঞ্জামিন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
[সম্পাদনা]১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত জোই বেঞ্জামিনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। কাউন্টি ক্রিকেট জীবনকে দ্বি-ধারায় বিভক্ত করেছেন জোই বেঞ্জামিন। নিখুঁততার সাথে আউটসুইঙ্গারের মাধ্যমে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। হঠাৎ আলোর ঝলকানীর ন্যায় তার কাউন্টি জীবনের সূত্রপাত ঘটলেও ১৯৯৭ সালে তাকে সারে দলের পক্ষে নিয়মিতভাবে খেলানো হয়নি। ১৯৯৯ সালে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তাসত্ত্বেও, তিনি অন্যতম জনপ্রিয় খেলোয়াড় ছিলেন। তার বাহু চাঞ্চল্যতাসহ অপরিসীম শক্তিতে ভরপুর ছিল। বোলিংয়ের ধরন অনেকাংশেই গ্ল্যাডস্টোন স্মল ও ডমিনিক কর্কের অনুরূপ ছিল। তবে, তার ব্যাটিংয়ের ধরনে মার কিংবা মর আকারের।
শক্ত মজবুত গড়নের অধিকারী জোই বেঞ্জামিন বেশ দেরীতে কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। শুরুতে ওয়ারউইকশায়ার ও পরবর্তীকালে সারে দলের সাথে যুক্ত হন। এরপর, স্টাফোর্ডশায়ারের পক্ষে মাইনর কাউন্টিজ ক্রিকেটে বেশ সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৯.৯৪ গড়ে ৩৮৭ উইকেট দখল করেছিলেন। তন্মধ্যে, শেষ মৌসুমে সারে দলের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। এ পর্যায়ে অবশ্য তিনি মাত্র দুইটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ব্যাট হাতে নিয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেছেন ৪৯ রান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
[সম্পাদনা]সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট ও দুইটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন জোই বেঞ্জামিন। ১৮ আগস্ট, ১৯৯৪ তারিখে ওভালে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে, ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৪ তারিখে সিডনিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ৭ জানুয়ারি, ১৯৯৫ তারিখে ব্রিসবেনে জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।
এক টেস্টের বিস্ময়কারী হিসেবে ১৯৯৪ সালে তিনি তার একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। সফররত দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে বিস্ময়করভাবে ওভালে নিজ মাঠে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে ইংল্যান্ড দলের সদস্য করা হয়। ঐ খেলায় তিনি বেশ ভালো খেলেন। প্রথম ইনিংসে চার উইকেটের সন্ধান পান তিনি।[১] তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে ডেভন ম্যালকমের নয় উইকেট লাভের ন্যায় দর্শনীয় ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের কারণে তার সাফল্য ম্লান হয়ে পড়ে। এ পর্যায়ে তার বয়স ছিল ৩৩ বছর। এরপর তাকে আর দলে খেলানো হয়নি। জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলী তরুণ ফাস্ট বোলারদেরকে অগ্রাধিকার দিতে থাকেন। ঐ মৌসুমের শীতকালে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবনের বাদ-বাকী সময়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুইটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটে তার।
অবসর
[সম্পাদনা]ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ক্রিকেট কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি সারের রেইগেট এলাকায় বসবাস করছেন। রেইগেট গ্রামার স্কুলে ক্রিকেট কোচ হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Hadlee's slow start"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জোই বেঞ্জামিন (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জোই বেঞ্জামিন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)