তিল
তিল Sesamum indicum | |
---|---|
Sesame plants | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Asterids |
বর্গ: | Lamiales |
পরিবার: | Pedaliaceae |
গণ: | Sesamum |
প্রজাতি: | S. indicum |
দ্বিপদী নাম | |
Sesamum indicum L. | |
প্রতিশব্দ[১] | |
|
তিল (/ˈsɛsəmiː/; Sesamum indicum) সেসিমাম (বাংলা উচ্চারণ: [তিল] () গণ অর্ন্তভূক্ত একটি )সপুষ্পক উদ্ভিদ। এর অনেকগুলো স্বজাতি আফ্রিকায় এবং কয়েকটি ভারতের বিভন্ন স্থানে পাওয়া যায়। এটি ব্যাপকভাবে বিশ্বের ক্রান্তীয় অঞ্চলে দেশীভূত এবং ভোজ্য বীজের জন্য চাষ করা হয়ে থাকে।
বর্ণনা
[সম্পাদনা]তিল একবর্ষজীবি উদ্ভিদ যা প্রায় ৫০ থেকে ১০০ সেমি (১.৬ থেকে ৩.৩ ফু) লম্বা, এবং এর উল্টো পাতা সাধারণত ৪ থেকে ১৪ সেমি (১.৬ থেকে ৫.৫ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা এবং মাঝথানে ব্যবধানসহ বিস্তৃতভাবে ভল্লাকার হয়ে থাকে ৫ সেমি (২ ইঞ্চি) পর্যন্ত। গাছ নলাকার। ফুল সাধারণ নীল রঙের হয় এবং প্রতিফুলে একটি করে ফল অর্থাৎ বীজ থাকে। প্রতিটি ফলে খাঁজকাটা বিভাগে অনেক বীজ থাকে। বীজ সাধারণত ৩ মি.মি. - ৪ মি.মি. লম্বা এবং প্রস্থ ২ মি.মি.। বীজের পুরুত্ব ১ মি.মি. এর মত হয়ে থাকে। প্রতিটি বীজের ওজন ২০ মি.গ্রা - ৪০ মি.গ্রা।
এর ফুল হলুদ, নলাকার, একটি চার খাঁজকাটা মুখের সাথে ৩ থেকে ৫ সেমি (১.২ থেকে ২.০ ইঞ্চি) লম্বা হয়ে থাকে। তিলের ফুল এছাড়াও সাদা, নীল বা বেগুনি রঙের হতে পারে।
চাষ
[সম্পাদনা]তিলের বীজ বর্ষার শেষে জমিতে ছিটানো হয়।
উৎপাদন এবং বাণিজ্য
[সম্পাদনা]২০১০ সালে শীর্ষ দশ তিল উৎপাদনকারী[২] | ||
---|---|---|
দেশ | উৎপাদন (মিলিয়ন টন) |
ফলন (টন/হেক্টর) |
মায়ানমার | ০.৭২ | ০.৪৬ |
ভারত | ০.৬২ | ০.৩৪ |
গণচীন | ০.৫৯ | ১.২২ |
ইথিওপিয়া | ০.৩১ | ০.৯৯ |
সুদান | ০.২৫ | ০.১৯ |
উগান্ডা | ০.১৭ | ০.৬১ |
নাইজেরিয়া | ০.১২ | ০.৩৮ |
বুর্কিনা ফাসো | ০.০৯ | ০.৭২ |
নাইজার | ০.০৯ | ০.৫০ |
সোমালিয়া | ০.০৭ | ০.৯৬ |
সারা বিশ্বে | ৩.৮৪ | ০.৪৯ |
২০১০ সালে বিশ্বব্যাপী তিল বীজের মোট ফসল হয় ৩.৮৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন। ২০১০ সালে সর্বাধিক উৎপাদক ছিল বার্মা (মায়ানমার), এবং শীর্ষ তিন উৎপাদকের মধ্যে ছিল, বার্মা, ভারত এবং চীন, যা বিশ্বব্যাপী মোট উত্পাদনের ৫০ শতাংশ।[৩]
২০১০ সালে ৭.৮ মিলিয়নের অধিক হেক্টর জমিতে তিল ফলানো হয়।[২]
২০১০ সালে বিশ্বব্যাপী তিল বীজের গড় ফলন ছিল প্রতি হেক্টরে ০.৪৯ মেট্রিক টন। এই ছকে ২০১০ সালের শীর্ষ দশ উৎপাদনকারী দেশের উৎপাদন (মিলিয়ন মেট্রিক টন) এবং ফলন (হেক্টর প্রতি মেট্রিক টন) উপস্থাপিত হয়েছে।
২০১০ সালে বিশ্বে তিল বীজ খামারের সবচেয়ে উৎপাদনশীল দেশ হেক্টর প্রতি ৫.৫ টন ফলন গড়ে ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন; ইতালি সর্বাধিক হেক্টর প্রতি ৭.২ টন জাতীয় গড় ফলন উৎপাদন করে।[২]
গুনাগুণ
[সম্পাদনা]- রক্ত আমশয় ও সাধারণ আমাশয় ভাল করতে এটি উপকারী।
- ফোড়ার দূর করতে
- পচা ক্ষত দূর করতে[৪]
- তিল দাঁত ও মাড়ির রোগ দূর করে।
পুষ্টি ও স্বাস্থ্য চিকিৎসা
[সম্পাদনা]
|
|
- পুষ্টিগত বিষয়বস্তু
প্রতিদিন ৮০ গ্রাম তিল বেটে সকালে খেয়ে ৫ মিনিট পরে এক গ্লাস জল খেলে শরীরে পুষ্ঠির অভাব দূর হয় ও দাঁত শক্ত হয়।
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
একটি সিমিট তিল বীজের সাথে একটি ছোট বৃত্তাকার তুর্কি রুটি
-
থাই শ্রমিক তিল ফলাচ্ছে
-
শুকনো তিল বীজ
-
তিল খেত
-
তিল বীজের বল যা পূর্ব এশিয়ায় খুবই জনপ্রিয়
-
একটি তিল বীজের হ্যামবার্গার বান
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "The Plant List: A Working List of All Plant Species"। ১৯ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ ক খ গ Food and Agriculture Organization of the United Nations (২০১২)। "Production Crops: sesame seeds"। ১৯ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Food and Agriculture Organization of the United Nations (২০১২)। "Food and Agricultural commodities production: Countries by commodity"। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫।
- ↑ আঃ খালেক মোল্লা সম্পাদিত;লোকমান হেকিমের কবিরাজী চিকিৎসা; আক্টোবর ২০০৯; পৃষ্ঠা- ২২৫-২৬
গ্রন্থতালিকা
[সম্পাদনা]- Bedigian, D. (১৯৮৪)। Sesamum indicum L. Crop origin, diversity, chemistry and ethnobotany (গবেষণাপত্র)। Urbana-Champaign: University of Illinois।
- Bedigian, D. (১৯৮৫)। "Is še-giš-i sesame or flax?"। Bulletin on Sumerian Agriculture। 2: 159–178।
- Bedigian, D. (১৯৮৮)। "Sesamum indicum L. (Pedaliaceae): Ethnobotany in Sudan, crop diversity, lignans, origin, and related taxa"। Goldblatt P., Lowry P.P.। Modern Systematic Studies in African Botany। AETFAT Monographs in Systematic Botany। 25। St. Louis, MO: Missouri Botanical Garden। পৃষ্ঠা 315–321।
- Bedigian, D. (১৯৯৮)। "Early history of sesame cultivation in the Near East and beyond"। Damania A.B., Valkoun J., Willcox G., Qualset C.O.। The Origins of Agriculture and Crop Domestication। The Harlan Symposium। Aleppo: ICARDA। পৃষ্ঠা 93–101। ১ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫।
- Bedigian, D. (২০০০)। "Sesame"। Kiple K.F., Ornelas-Kiple C.K.। The Cambridge World History of Food। I। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 411–421।
- Bedigian, D.; Korošec-Koruza, Zora (২০০৩)। "Evolution of sesame revisited: domestication, diversity and prospects"। Genetic Resources and Crop Evolution। 50 (7): 779–787। ডিওআই:10.1023/A:1025029903549।
- Bedigian, D. (২০০৩)। "Sesame in Africa: origin and dispersals"। Neumann K., Butler A., Kahlheber S.। Food, Fuel and Fields — Progress in African Archaeobotany। Africa Praehistorica। Cologne: Heinrich-Barth-Institute। পৃষ্ঠা 17–36।
- Bedigian, D. (২০০৪)। "Conspectus of Sesamum. Annex III"। IPGRI. Descriptors for Sesame (Sesamum spp.) (পিডিএফ)। Rome: International Plant Genetic Resources Institute। পৃষ্ঠা 61–63। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫।টেমপ্লেট:Retrieved
- Bedigian, D. (২০০৪)। "History and lore of sesame in Southwest Asia"। Economic Botany। 58 (3): 329–353। ডিওআই:10.1663/0013-0001(2004)058[0330:HALOSI]2.0.CO;2।
- Bedigian, D. (২০০৬)। "Assessment of sesame and its wild relatives in Africa"। Ghazanfar S.A., Beentje H.J.। Taxonomy and Ecology of African Plants, their Conservation and Sustainable Use। Kew: Royal Botanic Gardens। পৃষ্ঠা 481–491।
- Bedigian, Dorothea (২০১০)। Sesame: The Genus Sesamum। St. Louis: Missouri Botanical Garden। আইএসবিএন 978-0-8493-3538-9।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- সেসামাম ইন্ডিসিয়াম পাকিস্তানের উদ্ভিদকুলে
- কাটজির স্পাইস পেজ: তিল
- pharmacographica indica page 42